রোববার (২৩ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা ইমরান হোসেন নাইম জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মুক্তিযোদ্ধার কোঠা না রেখে মুক্তিযুদ্ধকে অপমান করেছেন।
তাই আমরা মুক্তিযুদ্ধ আর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করছে তাদের বিরুদ্ধে এখানে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করছি। কিন্তু একটি চক্র আমাদের এ আন্দোলনের মধ্যে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
ছাত্রলীগ নেতা রুম্মান হোসেন রুজবেল বলেন, অন্যায়কে প্রতিষ্ঠা করার জন্য উপাচার্য চেষ্টা করছেন। আমরা তার অপসারণের জোর দাবি জানাচ্ছি।
রাজীন তাহমিদ নামে এক ছাত্র বলেন, আমরা অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি করা হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছে। তাই তার বিরুদ্ধে আমরা সাধারণ ছাত্ররা আন্দোলনে নেমেছি।
এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. এস এম ইমামুল হকের সঙ্গে কথা বলা না গেলেও প্রক্টর শফিউল আলম জানান, বিষয়টি আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি। ওরা কি চাচ্ছে সেটা আমার এখনো জানতে পারিনি। আর ওরা যে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দুর্নীতির কথা বলছে, সেই নিয়োগ প্রক্রিয়া বিধি অনুযায়ী হচ্ছে। ওদের আবেদন করতে বলেছি। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার নাসির উদ্দিন মল্লিক বলেন, নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একটি ঝামেলা রয়েছে। এ নিয়ে আন্দোলনকারীরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছেন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে। যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা না রাখায় বরিশালের সাংস্কৃতিককর্মী ও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ভিসিবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছে। সে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বরিশাল শহরে মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এতে শামিল হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়েও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ভিসির অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৭
এমএস/জেডএস