ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ ভাদ্র ১৪৩১, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ সফর ১৪৪৬

শিক্ষা

১১ কলেজে ২৯ পরীক্ষার্থী, সবাই ফেল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৭
১১ কলেজে ২৯ পরীক্ষার্থী, সবাই ফেল রাজশাহী শিক্ষাবোর্ড

রাজশাহী: রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের অধীন চলতি বছর ১১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলো মোট ২৯ জন। এর মধ্যে মাত্র একজন করে শিক্ষার্থী ছিলো চার কলেজে। তবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও ২৯ পরীক্ষার্থীর কেউ পাস করতে পারেনি!

রোববার  (২৩ জুলাই) দুপুরে বোর্ডের ফল ঘোষণাকালে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর তরুণ কুমার সরকার এ তথ্য জানান।

এর আগে ২০১৬ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় শূন্য ফল প্রাপ্ত কলেজ ছিলো ৮টি।

২০১৫ সালে ৫টি, ২০১৪ সালে ২টি এবং ২০১৩ এবং ২০১২ সালে ৪টি করে কলেজ ছিলো এই তালিকায়।  

রাজশাহী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দফতর সূত্রে জানা যায়, শূন্য পাসের ওই ১১ কলেজের মধ্যে সর্বাধিক আটজন পরীক্ষার্থী ছিলো নওগাঁর আত্রাই উপজেলার সাহেবগঞ্জ টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজে। পাঁচজন পরীক্ষার্থী অংশ নেয় রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার দাবিপুর কলেজ থেকে।  

তিনজন করে পরীক্ষার্থী ছিলো নাটোরের গুরুদাশপুর উপজেলার বঙ্গবন্ধু সাইন্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি বিএম ইনস্টিটিউট এবং নওগাঁর আত্রাই উপজেলার বড় শিমলা মহিলা কলেজের। দুজন করে পরীক্ষার্থী অংশ নেয় রাজশাহীর বাগমারার বড়বিহানলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, নাটোরের সিংড়া উপজেলার চৌগ্রাম উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ এবং জয়পুরহাটের হিছমি আদর্শ কলেজ থেকে।

এছাড়া একজন করে পরীক্ষার্থী ছিলো নাটোরের সিংড়া উপজেলার আগপাড়া শিরকলি বন্দর বিদ্যালয় ও কলেজ, নওগাঁর মান্দা উপজেলার পূর্বমান্দা আইডিয়াল কলেজ, বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার গণকপাড়া বিদ্যালয় ও কলেজ এবং জয়পুরহাট সদরের ভাদশা আইডিয়াল কলেজ।

তবে কেবল শূন্য পাস কলেজের সংখ্যাই বাড়েনি বেড়েছে ১০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছে এমন কলেজের সংখ্যাও। এ বছর এমন রয়েছে ১শ’ ৩৯টি। গত বছর ছিলো ১৮টি। এর আগে ২০১৫ সালে ২৬টি, ২০১৪ সালে ১৫টি এবং ২০১৩ সালে ৯টি কলেজ ছিলো এ তলিকায়।  

আর চলতি বছর রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডে ৫০ শতাংশ থেকে ৯৯ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করেছে এমন কলেজ রয়েছে ৫শ’ ৬৯টি। গত বছর ছিল ৬১৮টি। ২০১৫ সালে ছিল ৬শ’ ২১টি, ২০১৪ সালে ৬শ’ ১৮টি এবং ২০১৩ সালে ৬শ’ ১টি কলেজ ছিলো এ তালিকায়।

তবে শূন্য পাস এবং ৫০ শতাংশের নিচে পরীক্ষার্থী পাস করেছে এমন কলেজের সংখ্যা বৃদ্ধিতে তাদের কোনো দায় নেই দাবি করেছেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক তরুণ কুমার সরকার।  

তিনি বলেন, এসব কলেজ শুধু প্রাথমিক অনুমোদন পেয়েছে। ধারাবাহিকভাবে তারা এমন ফল করলে কারণ খুঁজে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেবে বোর্ড। এরপর মন্ত্রণালয়ই ব্যবস্থা নেবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৭
এসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।