সোমবার (১৪ আগস্ট) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এ অভিমত তুলে ধরেন তিনি।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিপ্লোম্যাটিক কনক্ল্যাভ -২০১৭ ও সংগঠনের নতুন সদস্যদের বরণ করতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ডিইউমুনা।
সংগঠনের সভাপতি মোস্তফা আমীর ফয়সালের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংগঠনের মডারেটর ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে জাতিসংঘের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনে ডিইউমুনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নিজেদের অবস্থান আরও বাড়াতে হবে। জাতিসংঘের বিভিন্ন ওয়ার্কশপ, সেমিনারের অংশগ্রহণের মাধ্যমে তোমরা সেটি করে যাচ্ছো। পাশাপাশি নিজেরা জাতিসংঘের আদলে কাজ করে যাচ্ছো, সেটি ক্রমান্বয়ে বাড়াতে হবে। এভাবে বাংলাদেশকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে।
নবীনদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘে যে ভাষণ দিয়েছিলেন সেটি বর্তমানেও প্রাসঙ্গিক। তিনি সেসময় কূটনৈতিক পরিমন্ডলের বাইরে সমসাময়িক সমস্যা নিয়ে কথা বলেছেন। তোমাদেরকেও মানব সভ্যতার উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হবে। দেশের জন্য কূটনীতিতে কৌশল অবলম্বন করতে হবে।
গত ১১ আগস্ট ও ১২ আগস্ট জাতিসংঘের মূল অধিবেশনের আদলে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয় আন্তঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছায়া জাতিসংঘ সম্মেলন ২০১৭। সম্মেলনে জাতিসংঘের অনুরূপ চারটি কমিটির সমন্বয়ে (ইউএনডিপি, ইউএনইপি, ইউনিসেফ, ডাইসেক) মোট ছয়টি পরিষদ পরিচালিত হয়।
মানব সম্পদ উন্নয়ন, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি, ধর্মীয় নিরাপত্তা ও সাইনো-ইন্ডিয়ান বর্ডার সমস্যা প্রভৃতি ছিল এ পরিষদগুলোর আলোচ্য বিষয়বস্তু। এ কমিটি সেশনগুলোর কমিটির সদস্যরাষ্ট্রের মতামত, অনুসন্ধান ও বিশ্লেষণের ভিত্তিতে প্রাপ্ত নীতিমালাগুলো বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে সহায়ক।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৭
এসকেবি/জিপি