বন্যার্তদের আবাসনের জন্য ১৫টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আত্রাই নদীর পানি রোববার (২০ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে বিপদ সীমার ৯০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিংড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নাজমুল আহসান বাংলানিউজকে জানান, বন্যা কবলিতদের জন্য ১৫ টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে মোট তিন হাজার মানুষকে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যাগে তিন বেলা করে খাবার দেওয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, বন্যার কারণে হুমকির মধ্যে রয়েছে বিদ্যুৎ অফিস। আর মাত্র ৬ সেন্টিমিটার পানি বাড়লে বিদ্যুৎ অফিস বন্ধ হয়ে যাবে। এতে পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এজন্য পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আগাম প্রস্তুতি হিসেবে উপজেলা পরিষদ, থানা, পৌরসভা, হাসপাতাল, আশ্রয় কেন্দ্রসহ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জেনারেটর প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আত্রাই নদীতে বিপদসীমার ৯০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় সিংড়া- আত্রাই ও সিংড়া বারইহাটি বাঁধ সড়কের ওপর দিয়ে উপচে পড়ছে পানি।
শনিবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যা আনুমানিক সাতটা থেকে এ পর্যন্ত (২০ আগস্ট) উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের ১০ টি ও শেরকোল ইউনিয়নের ১৫ টি গ্রামসহ মোট ২৫ টি গ্রাম নতুনভাবে প্লাবিত হয়েছে।
এর আগে সকালে পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বাঁধ কেটে দেওয়ার অভিযোগে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। স্থানীয়রা বাঁধটি রক্ষায় বালির বস্তা ও ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দিয়েছেন।
নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার বাংলানিউজকে জানান, উজান থেকে পানি নেমে আসার কারণে পানি বাড়ছে। বর্তমানে বিপদ সীমার ৯০ সেন্টিমিটারের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, আত্রাই নদীতে পানি বৃদ্ধিতে এবার ৭০ বছরের রেকর্ড ভঙেছে। এর আগে ৮৮ সালের বন্যায় আত্রাই নদীতে সর্বোচ্চ পানি প্রবাহ ছিলো ১৩ দশমিক ৫২ সেন্টিমিটার। এবার পানি প্রবাহ দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৫৪ সেন্টিমিটার।
বাংলাদেশ সময়: ০২১১ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৭
এজেড/ওএইচ/