শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াও পাঠদানের ক্ষতি হচ্ছে। কোনো কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে, কোথাও কোথাও পানির তোড়ে ভেসে গেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এক হাজার ২৮৮টি স্কুল-কলেজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিগগিরই মেরামতের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেরামত এবং বন্ধ প্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দিয়ে বিশেষ ক্লাসের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল।
অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. এস এম ওয়াহিদুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, বন্যার পানি উজানে নেমে গেলেও ভাটিতে বাড়ছে। এতে ক্ষতির সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। মাঠ পর্যায় থেকে দ্রুত ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।
এসব প্রতিষ্ঠানে দুই ধরনের ক্ষতি হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ভৌত অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি এবং পাঠদানের ক্ষতি। তথ্য পাওয়া গেলে মন্ত্রণালয়কে জানানো হবে। কীভাবে ক্ষতি কাটিয়ে ওঠা যায় তা নিয়ে মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নেবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফরের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত স্কুল-কলেজ মেরামত ও সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, বন্যায় দুই হাজার ১৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কুড়িগ্রামে ৬৮৪টি, জামালপুরে ২৩৯টি, লালমনিরহাটে ২০৩টি, গাইবান্ধায় ১৭৪টি, মৌলভীবাজারে ১৬০টি, রংপুরে ১৫৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
পানি নেমে যাওয়ার পর মাঠ পর্যায়ের প্রকৃত চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যালয়গুলোর প্রযোজনীয়তার অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে মেরামত বা সংস্কার ও শ্রেণিকক্ষ সজ্জিতকরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানায় অধিদফতরের উপ-পরিচালক ড. মো. নুরুল আমিন চৌধুরী।
তবে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের তৃতীয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৩) এর বাজেট বরাদ্দ এখনও পাওয়া যায়নি। শিগগিরই পাওয়া যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৬
এমআইএইচ/এমজেএফ