সেজন্য এ প্রজন্মের মাঝে বাংলা ভাষা শিক্ষা ও চর্চার প্রতি আগ্রহ তৈরিতে উদ্যোগী হয়েছে ইস্পাহানি গ্রুপ। ‘বাংলায় জাগো ভরপুর’ স্লোগান নিয়ে তারা শুরু করেছে ‘ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ’ শীর্ষক প্রতিযোগিতা।
এর উদ্দেশ্য নতুন প্রজন্মকে শুদ্ধ বাংলা, বানান ও ব্যবহারে উৎসাহিত করা, ভুল ও অপপ্রয়োগের হাত থেকে বাংলাকে রক্ষা করা, সর্বোপরি বাংলা ও বাংলা ভাষার নবজাগরণ। মাতৃভাষার প্রতি অবজ্ঞা, অবহেলা ও অসচেতনতা থেকে জেগে শুদ্ধ চেতনায় ফিরে আসার ডাক দিতে আয়োজন হয়েছে এই প্রতিযোগিতার।
প্রথমবারের মতো এই আয়োজনে কাঙ্ক্ষিত দর্শকমহল ও গণমাধ্যমে অভাবনীয় সাড়া পেয়েছে ‘ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ’। দেশের সাধারণ মানুষ থেকে বুদ্ধিজীবী, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থেকে চাকুরিজীবী-- সবাই ছিলেন এই আয়োজনের নিয়মিত দর্শক।
তরুণদের মাঝে মাতৃভাষা বাংলার উন্নয়ন ও জাগরণে এমন তাৎপর্যপূর্ণ অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য দর্শক ও গণমাধ্যমকর্মীরা উদ্যোগটিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
সাতটি বিভাগীয় শহরে বাছাইপর্বের মধ্য দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠানটির প্রথম ধাপ। দেশের সব বাংলা, ইংরেজি ও মাদ্রাসা কারিকুলামের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির (ইংরেজি মাধ্যমের স্ট্যান্ডার্ড সিক্স থেকে ও-লেভেলস) ৩৫ হাজার শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে শীর্ষ ৮০ শিক্ষার্থীকে নিয়েহয় প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় ধাপ। এই দ্বিতীয় ধাপের সাহিত্য ও ব্যাকরণভিত্তিক প্রশ্ন, মজার বাগধারা, ছবির ধাঁধা, বাজানো পর্ব, উপস্থিত বক্তৃতা, সৃজনশীল লেখনী, সমসাময়িক ছবির ভুলসহ বৈচিত্র্যপূর্ণ নানা প্রতিযোগিতা নিয়ে সাজানো স্টুডিও রাউন্ড এরইমধ্যে শেষ হয়েছে।
আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর চ্যানেল আই’র পর্দায় প্রচারিত হবে চূড়ান্ত পর্ব। বাংলা ভাষার জ্ঞান, মেধা ও মননশক্তির বিচারে এ বছরের ‘ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ’ পুরস্কার হিসেবে পাবে ১০ লাখ টাকার মেধাবৃত্তি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেরা পাবে যথাক্রমে ৩ লাখ ও ২ লাখ টাকার মেধাবৃত্তি। এছাড়া, শীর্ষ দশের প্রত্যেকেই পাবে ল্যাপটপ, বইয়ের আলমারি ও বইসহ মোট ৫০ হাজার টাকার মূল্যমানের পুরস্কার সামগ্রী।
ইস্পাহানি বিশ্বাস করে, ধারাবাহিক এমন আয়োজনের মাধ্যমে ক্রমাগতভাবে বাংলাদেশ হয়ে উঠবে আরও সমৃদ্ধ এবং মেধাবী ও মননশীলদের এক দেশ। যে দেশের ভবিষ্যৎ নাগরিকেরা অন্যের ধার করা সংস্কৃতি নয়, বরং নিজেদের সংস্কৃতিকে ছড়িয়ে দেবে বিশ্বময়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৭
এইচএ/