বুধবার (১ নভেম্বর) প্রায় এক ঘণ্টা ধরে শিক্ষার্থীরা ওই প্রশ্নপত্র দিয়েই উত্তরপত্র লিখে। বিষয়টি নিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা হৈ চৈ ও বিক্ষোভ শুরু করলে এক ঘণ্টা পর নতুন প্রশ্ন সরবরাহ করা হয়।
কয়েকজন পরীক্ষার্থী জানায়, বুধবার জেএসসি পরীক্ষার ১ম দিনে শহরের বার একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয় ও চিত্তরঞ্জন কটনমিল উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্র ছিল নারায়ণগঞ্জ গার্লস হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৫ মিনিট পর ২০৮ ও ২০৯ নং কক্ষে ১৫ জন শিক্ষার্থী কক্ষে দায়িত্বে থাকা শিক্ষককে জানান, তাদেরকে ২০১৬ সালের সিলেবাসের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়েছে। ১ ঘণ্টা পর শিক্ষার্থীরা কান্নাকাটি ও চিৎকার শুরু করলে বিষয়টি জেনে স্কুলের প্রধান শিক্ষক শীতল চন্দ্র দে সেখানে গিয়ে নতুন প্রশ্নপত্র সরবরাহ করেন। এসময় পরীক্ষার্থীরা তাদের ১ ঘণ্টা সময় নষ্ট হওয়ায় বাড়তি সময় দেয়ার অনুরোধ করলে প্রধান শিক্ষকসহ উপস্থিত শিক্ষকরা তাদেরকে পরীক্ষা বাতিল করে দেয়া হবে বলে ভীতি প্রদর্শন করেন।
অভিভাবক ফেরদৌস আরা বলেন, বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষক শীতল চন্দ্র দে’র সাথে আলাপ করলে তিনি ভুল স্বীকার করে এর সমাধান করবেন বলে জানান। তবে এক পর্যায়ে অভিভাবকদের প্রশ্নের মুখে তিনি চলে যান। পরে তার মোবাইলও বন্ধ পাওয়া গেছে।
নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) রেজাউল বারী দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব তাৎক্ষণিকভাবে আমাদেরকে জানালে পরীক্ষার্থীরা এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতো না। স্কুল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গোপন রেখে বড় ধরনের অপরাধ করেছে। তাদের উচিত ও দায়িত্ব ছিল বিষয়টি সাথে সাথে আমাদেরকে জানানো।
তিনি বলেন, এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরীক্ষার্থীদের ব্যাপারে তিনি বলেন, যেহেতু সারা দেশে একই সাথে পরীক্ষা হয়ে গেছে। তাই নতুন করে পরীক্ষা নেয়ার দাবি মানাটা জটিল বিষয়। তারপরেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০১৭
জেডএম/