বিষয়টি জানা জানি হলে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনস কমপ্লেক্স থেকে তাকে আটক করা হয়।
খলিলুর যশোরের কোতোয়ালি এলাকার তোফায়েল আহমদের ছেলে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের (বি ইউনিট) ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম মেধা তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয়।
আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক আবু নাসের মো. ওয়াহিদ বাংলানিউজকে জানান, দুপুরে মেধা তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য সাক্ষাৎকার নেয়া হচ্ছিল। সাক্ষাৎকারের সময় শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের মার্কশিট দেখা হয়। খলিলুর আইন অনুষদের ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজিতে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে। কিন্তু তিনি মাধ্যমিক পরীক্ষায় ইংরেজি বিষয়ে ‘ডি’ পেয়েছেন। এটা দেখে শিক্ষকদের খটকা লাগে। তখন তাকে ইংরেজিতে কিছু লিখতে বলা হয়।
শিক্ষকরা তার লেখার সঙ্গে উত্তরপত্রের লেখা মিলিয়ে দেখেন দুই লেখার মধ্যে কোনো মিল নেই। পরে তাকে আবার উত্তরপত্রের লেখা দেখে লিখতে বলা হয়।
উত্তরপত্র দেখে লেখার পরও দেখা যায় দুই লেখার মধ্যে মিল নেই। এসময় তাকে অমিলের কারণ জানতে চাইলে তিনি অসংলগ্ন কথা বলেন। পরে শিক্ষকরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দফতরে হস্তান্তর করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ওই ভর্তিচ্ছুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। পরে তাকে ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৭
আরবি/