ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

‘সরকার বললেই তো বন্ধ হবে না, কোচিং সেন্টার খোলা রাখবো’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৮
‘সরকার বললেই তো বন্ধ হবে না, কোচিং সেন্টার খোলা রাখবো’ নির্দেশ অমান্য করে চলছে কোচিং সেন্টার

দিনাজপুর: প্রশ্নফাঁস রোধে সরকার গত এসএসসি পরীক্ষার পাশাপাশি চলতি এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালে সরকার দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।

সরকারের এমন সিদ্ধান্ত অমান্য করে পরীক্ষা চলাকালে প্রকাশ্যে কোচিং বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে দিনাজপুর সদর উপজেলার কোচিং সেন্টার গুলো।  

এদিকে, দিনাজপুর শহরের প্রায় অধিকাংশ কোচিং সেন্টার বন্ধ রয়েছে।

তবে খোলা রাখা হয়েছে সদর উপজেলার দক্ষিণ কোতোয়ালি থানা এলাকার কোচিং সেন্টারগুলো।  

বুধবার (১১ এপ্রিল) দিনাজপুর শহর থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দক্ষিণে সিকদার হাটে সরেজমিনে দেখা যায়, একতা কোচিং সেন্টারে এক ঝাঁক শিক্ষার্থী। তাদের পরনে স্কুল-পোশাক। কোচিং করতে আসা শিক্ষার্থীদের পড়াচ্ছেন একতা কোচিং সেন্টারের পরিচালক আসাদুজ্জামান আসাদ।  

 বাংলানিউজকে আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘সরকার কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দিলেই বন্ধ করতে হবে? এটা মানার মতো নির্দেশ নয়! যা হয় হোক কোচিং সেন্টার খোলা রাখবো! এছাড়া কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখলে শিক্ষার্থীরা পরে আর আসে না। এতে কর্তৃপক্ষের ব্যাপক লোকসান গুনতে হয়।
 
এছাড়া, দিনাজপুর শহরের হাজীর দিঘি মোড় এলাকার নিউ অ্যাডভান্সড কোচিং সেন্টারে চেড়াডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর ভিড়। অবাক বিষয় হলো কোচিং সেন্টারের পরিচালক মো. মানিক চেরাডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক।  

চেরাডাঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র ও মহবতপুর গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে শাহারিয়ার ইসলাম বাংলানিউজকে জানায়, ‘মানিক স্যারের কোচিং সেন্টারে না পড়লে স্কুলে ফেল করিয়ে দেয়। ভালো মার্ক পাওয়ার জন্যই এখানে ভর্তি হওয়া। ‘ 

দিনাজপুর সদর উপজেলার মাসিমপুর মোড়, হাজীর দিঘি মোড়, রাম সাগর মোড়, বোর্ড হাট, খানপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় সরকারি নির্দেশ অমান্য করে কোচিং সেন্টার খোলা রাখতে দেখা যায়।  
নির্দেশ অমান্য করে কোচিং সেন্টার খোলা
এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালে কোচিং সেন্টার সরকারিভাবে বন্ধের নির্দেশ থাকলেও চলছে এ বিষয়টি জানতে দিনাজপুর সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আশরাফুল হক প্রধান বাংলানিউজকে বলেন, ‘২০১৮ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস রোধে সরকার গত ২৯ মার্চ থেকে দেশের সব প্রকার কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দেয়। এ নির্দেশ মেনে দিনাজপুর শহর ও এর আশপাশের প্রায় সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রয়েছে। আর যেসব কোচিং সেন্টার সরকারি আদেশ অমান্য করে খোলা রেখেছে তাদের জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ।  

ইতোমধ্যেই কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে।  

কিন্তু কোচিং সেন্টারের মালিকরা কথা শুনছে না বলেও অভিযোগ করেন আশরাফুল হক।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০১৮
আরআইএস/জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

শিক্ষা এর সর্বশেষ