এদের মধ্যে নগরের কাজলা এলাকার তজিবর রহমানের ছেলে শিমুল ওরফে পলাশ শনিবার (২৮ এপ্রিল) রাজশাহীর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
নগরীর মতিহার থানার পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) মাহবুব আলম বাংলানিউজকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃত অন্যজন হলেন- নগরের ভদ্রা এলাকার বাসিন্দা ওয়াশিম। তাকে আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়েছে। তবে রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয়নি।
ওসি মাহবুব আলম জানান, ২৩ এপ্রিল (সোমবার) রাতে নগরীর ভদ্রা এলাকা থেকে ওয়াশিমকে এবং ২৭ এপ্রিল (শুক্রবার) রাতে কাজলা এলাকা থেকে পলাশকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার পলাশকে আদালতে হাজির করা হলে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
জবানবন্দিতে পলাশ বলেছেন, আগের একটি মারামারি মামলার মধ্যস্থতাকারী ছিল সালাম। তবে সালামের ভূমিকার কারণে মামলাটি মীমাংসা হয়নি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পাঁচজন মিলে সালামকে হত্যা করেছেন।
এ হত্যা মামলার অপর আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। আশা করা যাচ্ছে, শিগগিরই মামলাটির সমাধান করা সম্ভব হবে। তবে বাকি চারজন কে এ ব্যাপারে কিছু বলতে রাজি হননি মাহবুব আলম।
এদিকে বাসচালক সালাম হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে শনিবার বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে রুয়েট কর্মচারী সমিতি। সকাল সাড়ে ১০টায় রুয়েটের প্রশাসন ভবনের সামনে থেকে তারা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি রুয়েটের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় প্রশাসন ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় তারা হত্যার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেকের ফাঁসির দাবি করেন।
২৩ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে রুয়েটের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের সামনে বাসচালক সালামকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তার চিৎকারে কয়েকজন গিয়ে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। পরদিন নিহতের বড় ছেলে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মতিহার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০১৮
আরবি/