সোমবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন প্রশাসন ভবনের ফটকগুলোতে তালা ঝুলিয়ে এর সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। ভবনটির দ্বিতীয় তলায় উপাচার্যের কার্যালয়।
‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’ এর ব্যানারে এ কর্মসূচি বেলা ১টা পর্যন্ত চলে।
গত ১৭ এপ্রিল আওয়ামীপন্থীদের আরেকপক্ষ উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অনুসারী শিক্ষকদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনায় ‘লাঞ্ছনার’ বিচারসহ চারদফা দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
এদিকে ভবন ঘেরাওয়ের কারণে প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। কার্যালয়ে ঢুকতে না পেরে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাইরে অবস্থান করছেন।
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের সভাপতি অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার বলেন, বিধি লঙ্ঘন করে উপাচার্য নয়টি হলে প্রভোস্ট নিয়োগ দিয়েছেন। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার সিন্ডিকেটের। উপাচার্য সিন্ডিকেট বিধিও মানছেন না। এসব অনিয়মের প্রতিবাদে ধর্মঘট পালন করতে গেলে আমাদের ছয়জন শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়েছেন। এর প্রতিবাদে আমরা লাগাতার কর্মসূচি পালন করছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বলেন, তারা যদি ভেবে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়কে বসিয়ে দেবেন, উপাচার্যকে সরিয়ে দেবেন তাহলে এটি যুক্তিসঙ্গত হবে না। তারা এক্ষেত্রে বিবেকের পরিচয় দেবেন না। আন্দোলনরত শিক্ষকরা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনের বিষয়টি বিবেচনায় রাখেননি। তারা থেকে থেকে শিক্ষার্থী-প্রশাসনকে জিম্মি করছেন। আমি উদাত্ত আহ্বান জানাই তারা যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মঙ্গলের জন্য ধর্মঘট, ঘেরাও এসব কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০১৮
আরআর