বৃহস্পতিবার (৩ মে) বিকেলে বঙ্গবন্ধু আদর্শের শিক্ষক পরিষদের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ার শিক্ষক লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষকদের দাবিগুলো হলো- রাতের অন্ধকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদ নষ্ট করার অভিপ্রায়ে তৎপর ও ছাত্রদের শিক্ষাজীবনে ঝুঁকি তৈরিকারীদের শাস্তি, শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা যথাসময়ে নেওয়া, ক্যাম্পাস মাদক ও র্যাগিং মুক্ত রাখা এবং প্রয়োজনীয় পরিবেশে জাকসু নির্বাচনের ব্যবস্থা নেওয়া।
সম্প্রতি নয়টি হলের প্রাধ্যক্ষের মেয়াদ শেষ হওয়ায় নতুন প্রভোস্ট নিয়োগ দেওয়ায় উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবীরপন্থি শিক্ষকরা।
এ প্রেক্ষাপটে লিখিত বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু আদর্শের শিক্ষক পরিষদের সদস্য সচিব অধ্যাপক বশির আহমেদ বলেন, ২০০৯ সালে অনির্বাচিত উপাচার্য অধ্যাপক শরীফ এনামুল কবীর দায়িত্ব গ্রহণ করেই একযোগে সকল প্রাধ্যক্ষকে সরিয়ে নতুন প্রাধ্যক্ষ নিয়োগ দেন। যাদের অনেকের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়নি। কিন্তু বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশের ১২(৬) ধারা অনুযায়ী মেয়াদ উত্তীর্ণদেরই পরিবর্তন করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, ২০১৪ সালে অধ্যাপক ফারজানা দায়িত্ব নেওয়ার পরেই যারা বর্তমানে উপাচার্য বিরোধী আন্দোলন করছেন তাদের পরামর্শেই মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও ২৪ জন শিক্ষককে সিন্ডিকেটের কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই আন্দোলনকারীদের প্রাধ্যক্ষসহ বিভিন্ন পদে বসিয়েছিলেন।
আন্দোলনকারীদের প্রচারপত্রের ভাষা নিয়ে সমালোচনা করে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের লেখা প্রচারপত্রের ভাষা, ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুনের বক্তব্য এতটাই কুরুচিপূর্ণ ও ভুল তথ্যে ভরা যা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানকেই অবনমিত করে।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক নূরুল আলম, অধ্যাপক রাশেদা আখতার, অধ্যাপক এ এ মামুন, অধ্যাপক মো. আব্দুল মান্নান চৌধুরী, অধ্যাপক মোহাম্মদ হানিফ আলী, অধ্যাপক সোহেল আহমেদ অধ্যাপক আব্দুল্লাহ হেল কাফী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সিকদার মো. জুলকারনাইনসহ প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৮
এমজেএফ/