ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

পাসের হার কমা ইতিবাচক: শিক্ষামন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩১ ঘণ্টা, মে ৬, ২০১৮
পাসের হার কমা ইতিবাচক: শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ

ঢাকা: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হার কমাকে ইতিবাচক হিসাবে দেখছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

রোববার (০৬ মে) সচিবালয়ে পরীক্ষার ফলাফলের বিস্তারিত তুলে ধরতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন নাহিদ।

তিনি বলেন, পাসের হার কমলেও শিক্ষার মান বেড়েছে।

পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নে পরিবর্তন আসায় আগের মতো খাতা না দেখে নম্বর দেওয়া বন্ধ হয়েছে।  

সার্বিক মূল্যায়নে সন্তোষ প্রকাশ করে নাহিদ বলেন, ছোটখাট ত্রুটি বিচ্যুতিগুলো পর্যালোচনা করে পরবর্তীতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।  

এবারের ফলাফল ইতিবাচক কি-না প্রশ্নে নাহিদ বলেন, ইতিবাচক দিক দেখতে পাচ্ছেন না? ইতিবাচক দিক একটা দিয়ে শুরু হলো যে, আমাদের পাসের হার কমেছে। কেন কমেছে সে কথা আগেও বলেছি, এবারও বললাম, আমরা মূল্যায়নের দিকটা পরিবর্তন করেছি। সমতা আনার জন্য করেছি।

‘শিক্ষকরা যেন ভালো মতো খাতা দেখেন, না দেখে যেন নম্বর না দিয়ে যান। এগুলো প্রমাণিত। আমি আগেও বলেছি, অনেকে খাতা না দেখেই নম্বর দিয়ে দিয়েছেন। অনেক দিন ধরে গবেষণা করে এই জায়গায় আনতে হয়েছে। সেদিক থেকে ভালো করে মনোযোগ দিয়ে খাতা দেখার ফলে হয়তো আগে যেটা দেখতেন না, তার ফলে নম্বরটা...। গতবারও পাসের হার কমেছে, এবারও কমেছে। তার মানে ওইসব জায়গাগুলোতে জোর দিচ্ছেন’।

পাসের হার কমার আরেক কারণ প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, আমাদের শিক্ষার মানও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আমাদের মূল্যায়নে আরো মনোযোগী হয়ে দেখা দরকার। এসব মিলে হয়তো কমেছে। ‍

‘আমাদের শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে, ঝরে পড়া কমছে। নতুন ছাত্ররা টিকে থাকছে। এটা বিরাট ব্যাপার। আগে ছিল কিছু লোকের জন্য শিক্ষা, এখন সবার জন্য শিক্ষা। এটা আমাদের সব থেকে বড় অগ্রগতি। তারা সবাই ফেল করে যাচ্ছে তা কিন্তু না, তারা পাসের সংখ্যা এবং জিপিএ-৫ সংখ্যাতেও যোগ হচ্ছে। বই নিচ্ছে শতভাগ, নিরানব্বই শতাংশের কাছাকাছি স্কুলে আসছে’।

বিশেষ বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।

কুমিল্লা বোর্ডে ফল ভালো করা প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, কুমিল্লা বোর্ড একটা সিগনিফিকেন্ট। গত দুই বছরে তাদের ফলাফলটা বিরাট ফারাক। এখন উঠেছে। আপাতত তাগিদ ছিলো এটা কেন হয়, এ ব্যাপারে একটা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। আমরা বোর্ডকে সজাগ করেছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বোর্ড এবং অধিদফতর থেকে পরামর্শ নিয়ে ব্যাপক প্রচেষ্টা নিয়েছি, যেসব জায়গায় ঘাটতি আছে সেগুলো যেন পূরণ করতে পারে। এটা সমতায় এসেছে বলা যায়। মোটামুটি সবাই কাছাকাছি চলে এসেছে। আগে চোখে লাগতো। দুই বছরে প্রচেষ্টার ফলে সমতায় এসেছে বলে মনে করি।

শূন্যভাগ প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে নাহিদ বলেন, অনেক জায়গায় দুইজন পরীক্ষা দিয়ে, দুইজনই ফেল। পাসেও হয়তো এমন থাকতে পারে। একজন পাস, শতভাগ পাস। পুরনো ধারাবাহিকতা রাখতে হচ্ছে আইনের কারণে, আমরা কেটে দিলে হাইকোর্ট থেকে রায় নিয়ে আসে। এই ধরনের প্রতিষ্ঠান কী করে বাদ দেওয়া যায় সেজন্য আমরা আইন করছি। সবাইকে নিয়ে করবো। যেখানে প্রতিষ্ঠান নেই সেখানে অবশ্যই দেবো, যেখানে প্রয়োজন নেই, অহেতুক একজন দুই ছাত্র নিয়ে চলছে, সেগুলো আমরা শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসবো এবং আরো ভালো শিক্ষক দেওয়ার চেষ্টা করবো।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, মে ০৬, ২০১৮
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।