মঙ্গলবার (১৫ মে) থেকে ছাত্রীদের হল অফিসে ডেকে এসব নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের স্বাক্ষর করা এই শো’কজ নোটিশের উত্তর দুই সপ্তাহের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে।
নোটিশটিতে পরিকল্পিতভাবে ‘মিথ্যা, অসত্য ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগ’ এনে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে ছাত্রীদের কাছে। ‘বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার, পরিকল্পিতভাবে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইফফাত জাহান এশাকে মারধর ও জুতোর মালা পরিধান করানোর অভিযোগের’ ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, হল প্রশাসন কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি ওই রাতের ঘটনায় ছাত্রীদের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় শৃঙ্খলা পরিষদ ও সিন্ডিকেট শাস্তির সুপারিশ করেছে। নোটিশ প্রাপ্তির দুই সপ্তাহের মধ্যে উত্তর না দিলে একতরফাভাবে কর্তৃপক্ষ শাস্তির ব্যবস্থা নেবে।
এদিকে এই নোটিশ দেওয়ার পর কোটা আন্দোলনে জড়িত সুফিয়া কামাল হলের ছাত্রীরা হয়রানির আশঙ্কা করছেন। এক ছাত্রী বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমি এশা আপুকে লাঞ্ছনার সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। তারপরও তালিকার শেষ দিকে আমার নাম দেওয়া হয়েছে। হল থেকেও নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। সেটার উত্তর দিয়েছি। এখন আবার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেওয়া হয়েছে। আমার পরীক্ষা চলছে। আমরা নতুন করে হয়রানির আশঙ্কা করছি। ’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী বাংলানিউজকে বলেন, ‘এ রকম নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এটি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্রিয়া। তাদের বক্তব্য জানার জন্য দেওয়া হয়েছে। হয়রানি করা হবে না। ’
গত ১০ এপ্রিল রাতে সুফিয়া কামাল হলে ছাত্রলীগের শাখা সভাপতি ইফফাত জাহান এশার হাতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্রীদের নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এরমধ্যে মোর্শেদা খানম নামে এক ছাত্রীর রগ কেটে দেওয়ার অভিযোগও ছড়িয়ে পড়ে। মোর্শেদা আবার শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি।
অভিযোগ ওঠার পর উত্তেজিত ছাত্রীরা ইফফাত জাহান এশাকে লাঞ্ছিত করে। অভিযোগের ‘প্রাথমিক সত্যতা’ পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী হল ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এশাকে বহিষ্কার করার কথা জানান। একই সময়ে ছাত্রলীগ থেকেও এশাকে বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু পরে রগ কাটার অভিযোগ ভুল প্রমাণ হলে ছাত্রলীগ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এশার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০১৮
এসকেবি/এইচএ/