ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বাস বাড়ানোর দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

ইবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৯
বাস বাড়ানোর দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ বাস আটকিয়ে ইবি ছাত্রীদের বিক্ষোভ। ছবি: বাংলানিউজ

ইবি: ছাত্রীদের পরিবহনের জন্য বাস বাড়ানোর দাবিতে ক্যাম্পাসের বাস আটকিয়ে বিক্ষোভ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। 

বুধবার (১০ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে কুষ্টিয়ার কাস্টম মোড় থেকে ছেড়ে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস বটতৈল বাজারে পৌঁছালে অতিরিক্ত ছাত্রীদের চাপে সেখানে নেমে প্রায় এক ঘণ্টা বিক্ষোভ করে ইবি ছাত্রীরা।  

ঘটনাস্থলে থাকা ছাত্রীদের সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার ট্রিপে কুষ্টিয়া থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিবহনের জন্য তিনটি বাস বরাদ্দ দেয় প্রশাসন।

এরমধ্যে একটি বড় বাস ছাত্রীদের জন্য বরাদ্দ। বুধবার এই বাসটি কাস্টম মোড়েই ছাত্রীদের দিয়ে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। ভেতরে কোনো জায়গা ফাঁকা ছিলোনা। এরপরও আরও কয়েকজন ছাত্রী বাসে উঠলে গাদাগাদি করে বটতৈল বাজার পর্যন্ত আসেন তারা। এখানে আরও সাতজন ছাত্রী ক্যাম্পাসে আসার জন্য বাসের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকেন। জায়গা সংকটের কারণে তারা বাসে উঠতে পারেননি।

এরপর রাত আটটার দিকে বাসে থাকা অন্য ছাত্রীরা ক্ষুব্ধ হয়ে নেমে যান। রাস্তায় বাসের সামনে দাঁড়িয়ে যান তারা। পাশাপাশি বাস না বাড়ানো পর্যন্ত তারা ক্যাম্পাসে যাবেনা বলে জানান। ততক্ষণে ক্যাম্পাসগামী একটি ডাবল ডেকার ও একটি বড় বাস শিক্ষার্থীদের পাশ কাটিয়ে চলে আসে।

ছাত্রীরা রাস্তায় প্রায় এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে অবস্থানের পর দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. সেলিনা নাসরিন ও ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. আনিছুর রহমান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তারা ছাত্রীদের বিভিন্ন প্রশ্ন করেন।

এসময় ছাত্রীরা উত্তপ্ত হয়ে গেলে প্রভোস্ট এবং প্রক্টর বেশ কয়েকজন ছাত্রীর নাম, সেশন, বিভাগ ও রোল নম্বর লিখে রাখেন। এতে ছাত্রীরা আরও উত্তপ্ত হয়। পরে পরিবহন দফতরের সঙ্গে কথা বলে প্রক্টর আট-দশজন ছাত্রীকে একটি মাইক্রোবাসের মাধ্যমে এবং বাকি ছাত্রীরা ওই বাসে করেই ক্যাম্পাসে পৌঁছান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন ছাত্রী বাংলানিউজকে বলেন, ‘রাতের বেলা ছাত্রীদের পরিবহনের জন্য একটি মাত্র বাস দিয়েছে প্রশাসন। যার ফলে অধিকাংশ সময় সিট না পেয়ে আমাদের দাঁড়িয়ে আসতে হয়। তাছাড়া অতিরিক্ত যাত্রী হওয়ার ফলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার ভয় থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থী বাড়াচ্ছে কিন্তু শিক্ষার্থীদের জন্য পরিবহন বাড়াচ্ছেনা। আমরা এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাই। ’

পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক রেজওয়ানুল ইসলাম বলেন, প্রতি বুধবার ক্যাম্পাসের গাড়িগুলো সার্ভিসিংয়ে দেয়া থাকে। তাই তাৎক্ষণিক বাস দেওয়া সম্ভব হয়নি। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার (১১ ও ১২ এপ্রিল) ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় অনেক গাড়ির রিকুইজিশন আছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০১৯
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।