ঢাকা: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারীরা সারাদেশের ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক এবং বুদ্ধিজীবীদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা এ দাবি জানান।
তারা অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলন দমনে নানা কটূকৌশলের ধারাবাহিকতায় ক্যাম্পাসে মিছিল সমাবেশ নিষিদ্ধের ঘোষণা করেছে। বুধবার অনেক বিভাগে শিক্ষার্থীদের তালা লাগিয়ে ক্লাশ করতে বাধ্য করার চেষ্টা করা হয়েছে।
আন্দোলনকারীরা আরো অভিযোগ করেন, যখন তারা ধর্মঘটে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাচ্ছিল আন্দোলনে অংশ নেওয়ার জন্য তখন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক নাসির উদ্দিন আহমেদ ওই বিভাগের ৬ষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্র সজিব আহমেদকে লাঞ্ছীত করে।
এ ব্যাপারে উপাচার্যের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
তারা দাবি করেন, নিষেদ্ধাজ্ঞা সত্বেও শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশানসনের স্বৈরাচারী আচরণের বিরুদ্ধে সর্বাত্বক ছাত্র ধর্মঘট পালন করেছে।
শিক্ষর্থীরা বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ না করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গোয়ার্তমী আচরণ করছে। উচ্চ শিক্ষা উচ্চ মূল্যে কিনতে হবে- এরকম ঔদ্বর্ত্তপূর্ণ কথা বলেছেন।
তারা উপাচার্যের সমালোচনা করে বলেন, গণতান্ত্রিক ছাত্র আন্দোলনকে দমনের জন্য উপচার্য মিছিল সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছেন- যা খুবই লজ্জাজনক।
এসময় তারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহতভাবে পালনের ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে ২৭ -এর ৪ ধারা বাতিলে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়ন ও মিছিল-সমাবেশের ওপর নিষেদ্ধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রি পরিবেশ নিশ্চিত করার দাবি জনান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সভায় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, জবির সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফন্ডয়ের আহ্বায়ক শরিফুল হক চৌধুরী।
এ সময় প্রগতিশীল ছাত্র জোটের নেতারা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
এদিকে, সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মেজবাউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য উন্নয়ন ফি নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, মুষ্টিমেয় কয়েকজন এ আন্দোলন করছে। এখানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সর্ম্পকতা নেই।
উপাচার্য দাবি করেন, ধর্মঘটের ডাক দিলেও সব বিভাগে ক্লাস-পরীক্ষা ঠিকভাবে হয়েছে।
আন্দোলনকারীরা অবহ্যাতভাবে আন্দোলন করে যাচ্ছে, সেক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের করণীয় কি- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আজ বিকালে বিভিন্ন অনুষদের ডীন এবং বিভাগীয় চেরম্যানদের নিয়ে একটি বৈঠক হবে। এবং বিকাল ৪টায় বিশ্ববদ্যালয়ে সিনডিকেট সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মেজবাউদ্দিন সংবাদ মাধ্যমগুলোর সমালোচনা করে বলেন, মিডিয়া অতিরঞ্জিতভাবে গুটিকয়েক জনের আন্দোলন এবং তাদের দাবি তুলে ধরছে। এটি অধিকাংশ শিক্ষার্থীদের দাবি নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১২