ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

স্কুল খোলা ‘অতি জরুরি’, শিক্ষার্থী সুরক্ষায় ব্যয় নির্বাহ করে পরিপত্র

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০
স্কুল খোলা ‘অতি জরুরি’, শিক্ষার্থী সুরক্ষায় ব্যয় নির্বাহ করে পরিপত্র

ঢাকা: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার আগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ সাবান-ব্লিচিং পাউডার ও শিক্ষার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য থার্মোমিটার কেনার ব্যয় কোন খাত থেকে নির্বাহ করা হবে তা নির্ধারণ করে দিয়ে পরিপত্র জারি করেছে সরকার।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালযের সিনিয়র সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন স্বাক্ষরিত পরিপত্র বুধবার (২৩) এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করে সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

 

পরিপত্রে বিদ্যালয় পর্যায়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা (স্লিপ) ফান্ড দ্বারা চলমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিদ্যালয় পুনরায় চালুকরণের বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  

এতে বলা হয়েছে, কোভিড -১৯ মহামারি নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশ্বব্যাপী বিদ্যালয়গুলোর ন্যায় বাংলাদেশেও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো বন্ধ রয়েছে। এর ফলে শ্রেণিশিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাঘাতসহ শিশুর শিখন যোগ্যতার উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। বিশেষ করে প্রান্তিক শিক্ষার্থীরা যত বেশি সময় বিদ্যালয়ের বাইরে থাকবে, তাদের বিদ্যালয়ে ফেরার সম্ভাবনা ততই কমে যাবে। তাই জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিগগির বিদ্যালয় পুনরায় চালু করা অতীব জরুরি।

বিদ্যালয় পুনরায় চালু করার আগে পূর্ব প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা আবশ্যক উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ৩ সেপ্টেম্বর কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিদ্যালয় পুনরায় চালুর বিষয়ে একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয় এবং তদানুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  

চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (পিইডিপি-৪) এর আওতায় বিদ্যালয় পর্যায়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা (স্লিপ) প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন গাইডলাইনের আলাকে নিজ নিজ বিদ্যালয় নিজস্ব পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন অব্যাহত রয়েছে। বর্তমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে উক্ত গাইডলাইনের আলোকে বিদ্যালয় পুনরায় চালু করার আগে পূর্ব প্রস্তুতিমূলক বিবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।  

এ পরিপ্রেক্ষিতে বিদ্যালয় পর্যায়ে স্লিপ বরাদ্দকৃত ফান্ড দ্বারা অগ্রাধিকারভিত্তিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ প্রয়োজনীয় কেনাকাটার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ক্লাসরুমসহ বিদ্যালয়ের পুরো আঙ্গিনা সর্বদা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং জীবাণুমুক্ত করা, বিদ্যালয়ের সমস্ত আসবাবপত্র সার্বক্ষণিকভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং জীবাণুমুক্ত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপক যন্ত্র ‘ইনফ্রারেড থার্মোমিটার’ স্থানীয়ভাবে ক্রয়, সাবান, ব্লিচিং পাউডার ইত্যাদি ক্রয়, ওয়াশরুম ও টয়লেট সার্বক্ষণিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, মগ, জগ ও বালতি ক্রয়ের কথা বলা হয়।

পরিপত্রে অস্থায়ীভাবে হাত ধোয়ার স্থান নির্ধারণ করে হাত ধোয়ার পানি ও পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য শ্রমিকের যৌক্তিক সেবা ক্রয় (প্রযাজ্যে ক্ষেত্রে), কোভিড-১৯ মেয়াদকালে ইন্টারনেট ডাটা ক্রয়ের (এ খাতে বরাদ্দ না থাকলে) নির্দেশনা রয়েছে।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, বিদ্যালয়ে বরাদ্দকৃত স্লিপ ফান্ড থেকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে স্থানীয়ভাবে সাশ্রয়ী মূল্যে বর্ণিত সামগ্ৰী/সেবা ক্রয়/সংগ্রহ করা যাবে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিদ্যালয় পুনরায় চালুর নির্দেশিকার আলোকে নিজ নিজ বিদ্যালয় স্থানীয়ভাবে প্ল্যান গ্রহণ করে তা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করবে।

বিদ্যালয় পর্যায়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা (স্লিপ) প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন গাইডলাইনের অনুবৃত্তিক্রমে এ পরিপত্র জারি করা হলো এবং তা উক্ত গাইডলাইনের অংশ হিসেবে তা গণ্য হবে বলে পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।  

এতে আরও বলা হয়, উপযুক্ত ব্যয়ের ক্ষেত্রে সরকারের প্রচলিত আর্থিক বিধি-বিধান অবশ্যই প্রতিপালন করতে হবে। পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ পরিপত্র বলবৎ থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০
এমআইএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।