ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাদ্দাম হোসেন হলে চুরির ঘটনা ঘটেছে৷ মঙ্গলবার (২ মার্চ) ২১৭ নম্বর রুমের আবাসিক শিক্ষার্থী নাহিদ নুর হল থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনতে গেলে এ ঘটনাটি সামনে আসে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
এ নিয়ে ওই শিক্ষার্থী হল প্রভোস্ট, বিভাগীয় সভাপতি, প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হল প্রশাসনের অনুমতিক্রমে আমি বইসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনতে যাই। রুমের সামনে গিয়ে দেখি তালা ভাঙা।
পরে রুমে প্রবেশ করে দেখি যে, আলমারি, ট্রাংকের তালা ভেঙে বইপুস্তক, জামাকাপড়, জুতা ও অন্যন্য জিনিসপত্র চুরি হয়। পাশাপাশি প্রবেশকালে দেখি ২১৬ রুমের তালাও ভাঙার চেষ্টা করা হয়েছে বলে মনে হয়। এমতাবস্থায় আমি প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিয়েছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।
এদিকে গত তিন মাস আগে জিয়া হলে চুরির ঘটনায় অভিযোগ জানাবে বলে জানিয়েছেন ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আব্দ্দুল খালেক। তিনি বলেন, হল থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনতে আমি আমার কক্ষে (১১৭ নং কক্ষ) যাই। রুমে প্রবেশ করে দেখি সবকিছু ছড়ানো-ছিটানো আছে। পরে দেখি আমার ব্যবহৃত অনেক জিনিসপত্র নেই। সঙ্গে আমার অন্য রুমমেটদেরও জিনিসপত্র চুরি হয়।
বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের প্রতিটি হলেই সিসি ক্যামেরা আছে। কিছু কিছু সময় রাতের বেলায় হলের পাশে থাকা লাইটগুলো ঢিল ছুড়ে ভেঙে দেয়। লাইটগুলো ভেঙে দেওয়ার কারণে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পাওয়া সম্ভব হয় না। আর তখনি চুরিটা হয়।
তিনি আরও বলেন, সাদ্দাম হোসেন হলের প্রভোস্ট আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন। সিসি ক্যামেরায় আশপাশ দিয়ে কেউ ঢুকছে কিনা এ রকম কোনো ফুটেজে পাননি তিনি। এমনও হতে পারে দিনের বেলায় আগে থেকেই কেউ প্রবেশ করে থাকতে পারে। তবে আমরা বিষয়টি নিয়ে তৎপর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সাদ্দাম হোসেন হলের বিষয়টি এখনও আমি লিখিত পাইনি। তবে আগের বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করছি। গত সোমবার (১ মার্চ) আমি শৈলকুপা থানায় নিরাপত্তার বিষয়ে কথা বলে আসছি।
বাংলাদেশ সময়: ০১১২ ঘণ্টা, মার্চ ০৩, ২০২১
আরবি