ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে নন-একাডেমিক ব্যক্তিকে ট্রেজারার পদে নিয়োগের নিন্দা, প্রতিবাদ ও নিয়োগ বাতিলের দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।
শনিবার (৮ মে) সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক নিজামুল হক ভূইয়া স্বাক্ষরিত এক যুক্ত বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় যেসকল আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে তাতে শিক্ষকদের মতামত উপেক্ষিত হচ্ছে যা বঙ্গবন্ধুর উচ্চশিক্ষা-দর্শনের পরিপন্থী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি মনে করে, স্বাধীন বাংলাদেশে সকল বিশ্ববিদ্যালয় জাতির পিতা প্রণীত ৭৩-এর আদেশের চেতনার আলোকে পরিচালিত হওয়া বাঞ্ছনীয়। একই সঙ্গে শিক্ষক সমিতি ফেসকল বিশ্ববিদ্যালয় আইনে এই মৌল চেতনার ব্যত্যয় হয়েছে সেগুলো অবিলম্বে সংশোধনের দাবি জানাচ্ছে।
শিক্ষক নেতারা বলেন, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালসমূহের শীর্ষপদে নিয়োগ দীর্ঘসূত্রিতার বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে পড়েছে, যা উচ্চশিক্ষার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলা, অবজ্ঞা ও অনীহার বহিঃপ্রকাশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে উক্ত পদে নিযুক্তদের সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করতে হয়। তাই এ ধরনের পদে নিয়োগ বিলম্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রাকে চরমভাবে ব্যাহত করে। কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষপদ শূন্য হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কালক্ষেপণ না করে যোগ্য শিক্ষকদের নিয়োগ প্রদানের দাবি জানাচ্ছি। যোগ্য ও দক্ষ শিক্ষকদের নিয়োগদানের ব্যর্থতায় কোথাও কোথাও বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে যা অনাকাঙ্ক্ষিত। রাষ্ট্রের বিভিন্ন পেশার কর্মক্ষেত্র ও পরিধি সুনির্ধারিত। ভিন্ন পেশার একজন ব্যক্তিকে উচ্চশিক্ষা প্রশাসনে নিয়োগ দেওয়ার মধ্য দিয়ে পেশাগত অন্তঃসম্পর্ককে হুমকির মুখে ফেলা হয়েছে। এর ফলে রাষ্ট্র ও প্রশাসনে অস্থিরতা সৃষ্টির হতে পারে। এই প্রক্রিয়ায় জড়িতদের ব্যাপারে সরকারের সজাগ দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
অবিলম্বে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অতিরিক্ত সচিবের নিয়োগাদেশ অনতিবিলম্বে বাতিল করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের মধ্য থেকে যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ প্রদানের দাবি জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১৯ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২১
এসকেবি/এসআইএস