ঢাকা: জাতীয় শিক্ষক ফোরামের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেছেন, চলমান পরিস্থিতিতে সবকিছু স্বাভাবিক ভাবে চললেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সরকার দ্বি-মুখী আচরণ করছে। বৈশ্বিক মহামারি করোনা পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক না হয় তবে কি আজীবন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে?
শুক্রবার (১৮ জুন) দুপুরে পুরানা পল্টন নোয়াখালী টাওয়ারে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রৈমাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট সবাইকে হতাশায় নিমজ্জিত রেখে দেশ চলতে পারেনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ রক্ষায় সরকারকেই কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।
সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক নাসির উদ্দীন খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইএবি এর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা নেছার উদ্দিন বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর ভাষ্য অনুযায়ী করোনা প্রকোপের মাত্রা ৫ শতাংশের নিচে না নামলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিবেন না। কীভাবে শিক্ষা খাতকে বাঁচানো যায়, শিক্ষার্থীদেরকে নৈতিক অধঃপতন থেকে রক্ষা করা যায় সে ব্যাপারে সুস্পষ্ট পন্থা জাতির সামনে পেশ করতে হবে।
জাতীয় শিক্ষক ফোরামের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা এবিএম জাকারিয়া বলেন, ইতোমধ্যে শিক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ হয়েছে, এই বাজেট থেকেই বেসরকারি শিক্ষকদের ১০০ শতাংশ উৎসব ভাতা দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কওমি মাদরাসাগুলো নিয়ম মেনে গতবছর শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করলেও করোনা আক্রান্তের তথ্য পাওয়া যায়নি। অতএব কওমি মাদরাসাসহ সকল প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া সময়ের দাবি।
ত্রৈমাসিক সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির, অধ্যাপক ফজলুল হক মৃধা, জয়েন্ট সেক্রেটারি জেনারেল প্রভাষক আব্দুস সবুর, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আহসান উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক ইশতিয়াক আল আমীন, কলেজ বিষয়ক সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, আলিয়া মাদরাসা বিষয়ক সম্পাদক ড. মাওলানা আবু জাফর মু. সালেহ, স্কুল বিষয়ক সম্পাদক এস এম মহিউদ্দীন মোল্লা, শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক সহকারি অধ্যাপক ডা. কামরুজ্জামান, কওমি মাদরাসা বিষয়ক সম্পাদক মুফতি আব্দুর রহমান বেতাগী, শিক্ষক কল্যাণ সম্পাদক আর আই এম অহিদুজ্জাম, দফতর সম্পাদক প্রভাষক আমজাদ হোসেন আযমী, অর্থ সম্পাদক আজাদুর রহমান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৮ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২১
এমএইচ/কেএআর