ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষকদের বেতন না দিলে অধিভুক্তি বাতিলের দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৮ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২১
শিক্ষকদের বেতন না দিলে অধিভুক্তি বাতিলের দাবি কথা বলছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান।

ঢাকা: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত যেসব কলেজ শিক্ষকদের বেতন ও ভাতা দিচ্ছে না, তাদের অধিভুক্তি বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান।

শনিবার (২৬ জুন) দুপুর ১২টার দিক ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।



মশিউর রহমান বলেন, কলেজ প্রতিষ্ঠায় সময় প্রতিটি শিক্ষকের বেতন কলেজ থেকে দেওয়া হবে বলে অঙ্গীকার করা হয়। এরপরও বহু কলেজ শিক্ষকদের বেতন দিচ্ছে না। এ বিষয়ে প্রতিটি কলেজে চিঠি দিয়েছি, যেসব কোর্সের শিক্ষকদের বেতন দেওয়া হচ্ছে না ওই বিষয়ের কোর্সটির অধিভুক্তি বাতিল করা হবে।

অধিকাংশ শিক্ষক সততার সঙ্গে জীবনযাপন করেন জানিয়ে উপাচার্য বলেন, আমি অনেক অধ্যাপককে দেখেছি অবসরের পর একটি ফ্ল্যাট কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন। অনেক শিক্ষক রঙিন একটি টিভিও কিনতে পারেন না। শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নয়, মাধ্যমিক প্রাথমিকের ৯৫ শতাংশ শিক্ষক সততার সঙ্গেই জীবন ধারণ করছেন। অথচ আমরা সংবাদমাধ্যমে দেখতে পাই শিক্ষকের দুর্নীতির সচিত্র প্রতিবেদন। যা খুবই দুঃখজনক।

তিনি বলেন, এদেশের মানচিত্র যত বেশি বিস্তৃত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-অভিভাবকও সারাদেশেই বিস্তৃত রয়েছে। দেশে মোট ২২৬০টি কলেজ। ৫৬০টি অনার্স কলেজ ও শিক্ষার্থী আছে ২৯ লাখ। শিক্ষক আছে ৬০ হাজার।

ড. মশিউর রহমান বলেন, কোভিডকালীন সময়ে ৭ হাজার ক্লাস আপলোড করেছি। এছাড়াও প্রায় ১৩ হাজার ক্লাস নেওয়া হয়েছে। তবে কতজন শিক্ষার্থী এসব ক্লাস থেকে শিক্ষা নিয়েছেন তা নিয়ে সংশয় আছে। তবে, আমি আইসিটি ডিরেক্টরের সঙ্গে কথা বলেছি। এ বিষয়ে নতুন পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও এমপিওওভুক্ত যেসব শিক্ষক আছেন। বেতন পাচ্ছেন তাকে তো ক্লাস নিতে হচ্ছে না। এসব শিক্ষকদেরকে দিয়ে অনলাইন ক্লাস আয়োজনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও বিতর্ক প্রতিযোগিতা, অন্যান্য এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিস করার পরিকল্পনা আছে।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা যেন এক বর্ষে না থাকে এজন্য তাদেরকে উন্নীত করা হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থার জন্মলগ্ন থেকে ফেস টু ফেস শিক্ষাদানে অভ্যস্থ। আমরা যত বেশি অনলাইন শিক্ষায় অভ্যস্থ হতে পারবো তত বেশি এগিয়ে যেতে পারবো। এ বিষয়ে গণমাধ্যম অনুপ্রেরণা যোগাবেন বলেও তিনি বিশ্বাস করেন।

অনলাইনে ভর্তি বিষয়ে তিনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অনেক আগে থেকেই অনলাইনে ভর্তি কার্যক্রম শুরু করেছে। শুধুমাত্র এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের একটি কাগজ বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দিতে হয়। আমরা সেটি সমাধানেরও চেষ্টা করছি। ঢাকার বাইরের শিক্ষকরা সাড়ে ৪ ঘণ্টা ক্লাস নিয়েছে। এক্ষেত্রে খুবই কম শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান লক্ষ্য গুণগত শিক্ষাদান।  

মিট দ্য প্রেসে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২১
এমএমআই/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।