ইবি: নানা জটিলতার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা গ্রহণ শুরু হয়েছে। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সুরক্ষা ওয়েবসাইট/অ্যাপে নিবন্ধন শেষে মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ এলাকায় টিকা গ্রহণ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এসময় তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহণ কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। সরকার, টিকা সরবরাহকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আশা করছি দ্রুততম সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনা হবে।
তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রকাশিত তালিকায় যাদের নাম নেই কিংবা ইতোপূর্বে যারা রেজিস্ট্রেশন করেনি তাদের দ্রুততম সময়ে নির্ধারিত গুগল ফর্মে রেজিস্ট্রেশন করতে বলা হচ্ছে। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই তারা আপাতত রেজিস্ট্রেশন করতে পারছে না। সে ব্যাপারে সরকারি সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছি। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা যায়, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নির্দেশনা পর গত ২ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিবন্ধনধারী আবাসিক শিক্ষার্থীদের টিকা গ্রহণের লক্ষ্যে সুরক্ষা অ্যাপে/ওয়েবসাইটে নিবন্ধনের নির্দেশ দেয় প্রাশাসন। প্রশাসন নির্দেশনার পরপরই শিক্ষার্থীরা নিবন্ধনের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।
পরে ৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিবন্ধনকৃত আবাসিক শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশের নির্দেশনা দেয় ইউজিসি। নির্দেশনার ৬ দিন পর গত রোববার (১১ জুলাই) নিবন্ধন করা শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে ওইদিন থেকে সুরক্ষা ওয়েবসাইটে/অ্যাপে টিকার জন্য নিবন্ধনও শুরু হয়। তবে শুধু জাতীয় পরিচয়পত্রধারী শিক্ষার্থীরা সুরক্ষা অ্যাপে নিবন্ধন করতে পারছেন।
পঞ্চগড় থেকে চীনের সিনোফার্ম টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘সরকারের কার্যকরী সিদ্ধান্তের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভ্যাকসিন গ্রহণ করলাম। শুধু ভ্যাকসিনই যথেষ্ট মনে হচ্ছে না। নিজের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার দিকে নিজেকে আরো বেশি খেয়াল রাখতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি আরো জোড়ালো করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২১
আরএ