ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের ফোনালাপ ফাঁস, দাবি ষড়যন্ত্র

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২১
ভিকারুননিসার অধ্যক্ষের ফোনালাপ ফাঁস, দাবি ষড়যন্ত্র অধ্যক্ষ কামরুন নাহার

ঢাকা: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাঁস হয়েছে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এবং অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর একটি ফোনালাপ। দু’জনের ৪ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডের এই ফোনালাপ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

ফোনালাপের এক পর্যায়ে অধ্যক্ষ কামরুন নাহার মুকুলকে বলতে শোনা যায়, আমি যেমন শিক্ষক, তেমনি রাজনীতি করা মেয়ে। আমি বালিশের নিচে পিস্তল রাখি। ব্যাগে পিস্তল রাখি। কেউ (কোনো... বাচ্চা) যদি আমার পেছনে লাগে আমি কিন্তু ওর পেছনে লাগবো। আমি শুধু ভিকারুননিসা না, আমি তাকে দেশ ছাড়া করবো।

অধ্যক্ষ কামরুন নাহার মুকুলের এমন ফোনালাপে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্টরা। এতে বিব্রত হয়েছেন ভিকারুননিসার সাবেক এবং বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও।

ফাঁস হওয়া ওই অডিও ভিকারুননিসার দীর্ঘদিনের সুনাম ও ঐতিহ্যের ওপর আঘাত হেনেছে বলে মন্তব্য করছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সম্পৃক্তরা। এছাড়া গভর্নিং বডির সদস্যদের মতে, অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এ বছরের প্রথম দিন যোগদান করার পর থেকে আর প্রতিষ্ঠানে আসেননি বললেই চলে। কেউ যদি তাকে স্কুলে আসার বিষয়ে অনুরোধ করেন, তিনি (কামরুন নাহার) সবাইকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।

এদিকে ফাঁস হওয়া ওই ফোনালাপের অডিওকে ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ। দুর্নীতি করতে না দেওয়ায় অভিভাবক ফোরামসহ কিছু লোকজন তার পেছনে লেগেছে বলেই বাংলানিউজের কাছে মন্তব্য করেন তিনি।

এ বিষয়ে কামরুন নাহার মুকুল বাংলানিউজকে বলেন, সাত মাস আমি এখানে জয়েন করেছি। যেদিন আমি প্রথম এসেছি, সেদিন থেকেই এখানকার যে সিন্ডিকেট আছে, যেটা আমাকে সবসময় প্রশ্নবিদ্ধ করে রাখে। ভিকারুননিসার অন্ধকার একটা জগৎ আছে। ভালো স্বনামধন্য স্কুলের পেছনে একটা অন্ধকার জগৎ আছে। এটা অনিয়ন্ত্রিত। এখানে বাইরের একটা গ্রুপ আছে। তারা অভিভাবক পরিচয় দেয় নিজেদের, তারাই এটা করেছে।

তিনি বলেন, এরা আমাকে এমন অপমান নাই যা করেননি। একজন ভদ্রমহিলা হিসেবেও ওরা আমাকে মিনিমাম সম্মান দেননি। ওনারা আমার অফিস রুমে তালা দিয়েছেন, কেন আমি ওদের টাকা দিচ্ছিনা। ওরা আমার চেয়ারে লাথি মেরেছেন, আমার রুমের দরজায় লাথি মেরেছেন। ওরা আমাকে যেভাবেই হোক গলায় পাড়া দিয়ে হলেও টাকা নিবেন। তখন আমি এগুলো আমার অথরিটিকে জানিয়েছি।

কামরুন নাহার বলেন, আমার ইতিহাসে অন্যায়ের কোনো দাগ নেই। আমার মুখ দিয়ে কখনো খারাপ শব্দ আসেনা। ভর্তি বাণিজ্যসহ বিভিন্ন দুর্নীতি করতে না দেওয়ার ফলেই এটি আমার বিরুদ্ধে একটি বড় ধরনের ষড়ষন্ত্র। কারণ আমি থাকা অবস্থায় তারা (গভর্নিং বডি) কিছুতেই লুটতরাজ করতে পারেন না। আমি প্রিন্সিপাল কোনো বিষয় না। এখানে যে প্রিন্সিপাল আসবেন, সেই ওদের দ্বারা অত্যাচারিত হবেন, লাঞ্চিত হবেন। এটা একটা সংঘবদ্ধ দল।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২১
এইচএমএস/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।