ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

‘বঙ্গবন্ধু মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের লক্ষ্যে আজীবন কাজ করে গেছেন’

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২১
‘বঙ্গবন্ধু মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের লক্ষ্যে আজীবন কাজ করে গেছেন’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি): জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাধারণ মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের লক্ষ্যে আজীবন কাজ করে গেছেন। তিনি জীবনের মাত্র ১২ শতাংশ সময় পরিবারকে দিয়েছিলেন।

বাকি ৮৮ শতাংশ সময় তিনি গণমানুষের সেবায় ব্যয় করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর এই মহান আত্মত্যাগের কথা কেউ যেন ভুলে না যায়।  

রোববার (১৫ আগস্ট) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে প্রশাসনিক ভবনস্থ অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চ্যুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এসব কথা বলেন।  

স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ এবং সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম’ শীর্ষক এই ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।  

আলোচনা সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূইয়া, ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব রঞ্জন কর্মকারসহ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, কর্মচারী সমিতি, কারিগরি কর্মচারী সমিতি ও চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা বক্তব্য রাখেন।  

ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।  

উপাচার্য বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গঠনে বঙ্গবন্ধু শিক্ষাখাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন। শিক্ষাকে জাতীয়করণ, শিক্ষা ব্যবস্থায় স্বায়ত্তশাসন প্রদান এবং শিক্ষাখাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিয়ে তিনি একটি সৎ, দক্ষ ও প্রশিক্ষিত জাতি গঠন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ঘাতকরা তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ হতে দেয়নি। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সফল বাস্তবায়ন এবং তাঁর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান মানুষকে ভালোবেসেছেন এবং মানুষকে ভালোবাসতে শিখেয়েছেন। সেজন্য বঙ্গবন্ধু আজও আমাদের কাছে প্রাসঙ্গিক এবং অনাগনত কাল ধরেই তিনি প্রাসঙ্গিক থাকবে।  

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।  

দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ভবন ও হলসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয় ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকালে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ধানমন্ডি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০২১
এসকেবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Veet