ঢাকা: করোনা সংক্রমণ সিঙ্গেল ডিজিটে আসার মধ্যে প্রায় সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার দিনক্ষণ নির্ধারণ হয়ে গেছে। উচ্চ মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ১২ সেপ্টেম্বর, মেডিক্যাল কলেজ ও মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ১৩ সেপ্টেম্বর এবং পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলবে ১৫ অক্টোবরের পর।
শুরুতে প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের ক্লাসে না আনা হলেও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে অন্য শ্রেণিগুলোর ক্লাস শুরুর রোডম্যাপ তৈরি করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা এবং সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার আহ্বান করা হয়েছে। এ সভাতেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কীভাবে, কোন পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের আনা হবে, মাস্ক না ফেসশিল্ড পরবে- এসব নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা রয়েছে।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল চট্টগ্রামে জানিয়েছেন, আমরা আশা করছি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী যে সুনির্দিষ্ট তারিখ দিয়েছেন তারপর থেকে শারীরিক উপস্থিতির মাধ্যমে ক্লাস শুরু করতে পারবো। স্কুল-কলেজ খোলার পর আপাতত সপ্তাহে একদিন করে ক্লাস নেওয়ার পরিকল্পনা সরকারের।
এ পদ্ধতির ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, একদিন হয়তো ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা আসবে। আরেক দিন সপ্তম। এভাবে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে আনা হবে যাতে ভিড় না হয়।
আর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের উদ্ধৃতি দিয়ে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ রায় বলেন, শুরুতে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ক্লাসে আসবে না। শিক্ষার্থীরা মাস্ক না ফেসশিল্ড পরে আসবে তা আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সিদ্ধান্ত হবে।
গত বছরের মার্চ থেকে মহামারিকালে দেড় বছর পর স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারণ এত দিন অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালু থাকলেও সেটি যথেষ্ট নয়। সেজন্য বিকল্প পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) চাঁদপুরে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় যেসব শিক্ষার্থী ক্লাস থেকে বঞ্চিত হয়েছে, তাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনায় রিমিডিয়াল ক্লাস করানো হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আরেকজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বিকল্প হিসেবে টেলিভিশন এবং অনলাইনে পাঠদান অব্যাহত রাখা হয়। এভাবে পাঠদানেও কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী বঞ্চিত হয়েছে। তখন অ্যাসাইনমেন্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অ্যাসাইনমেন্ট পদ্ধতি সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, এসব বিকল্প ব্যবস্থা করেও শ্রেণিকক্ষের মতো ষোলআনা পাঠদান করতে না পারায় ঘাটতি দূর করতে রিমিডিয়াল ক্লাস করানো হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পরে আমাদের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা, স্বরাষ্ট্রসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এবং সচিবরা অংশ নেবেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২১
এমআইএইচ/আরআইএস