ইবি: কুষ্টিয়ার খাজানগরের কিছু ব্যবসায়ীদের চক্রান্তের কারণে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সুমন আহমেদকে মাদক মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন তার সহপাঠীরা।
সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) কুষ্টিয়ার এন এস রোডে সদর মডেল থানার সামনে সুমনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে মানববন্ধনে সহপাঠীরা এ দাবি করেন। এসময় তারা সুমনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
মানবন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, সুমন আহমেদকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। এর পেছনে ব্যবসায়িক ষড়যন্ত্র বিদ্যমান। সে কোনোভাবেই মাদকের সঙ্গে জড়িত নয়। এই মামলা সুমনের ব্যক্তি ও সামাজিক জীবনে প্রভাব ফেলছে। তার বিরুদ্ধে করা মামলার সুষ্ঠু তদন্ত করা হোক। দোষী প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। অন্যথায় সম্মানের সঙ্গে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া হোক।
আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের আল-আমিন বলেন, সুমন বাবার ব্যবসা সামলাতেন। তাকে ফাঁসানোর জন্যই হয়তো মিথ্যা অভিযোগ করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাকে চিনি। স্কুল, কলেজে একইসঙ্গে পড়েছি। সুমন কখনোই মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিল না। ডোপ টেস্টের রিপোর্টও নেগেটিভ এসেছে। অনতিবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে সুমনের বিরুদ্ধে দায়ের করা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।
মানববন্ধনে সুমনের সহপাঠী ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থী ছাড়াও কুষ্টিয়া সরকারি কলেজসহ সিনিয়র প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী অংশ নেন।
জানা যায়, ৩১ আগস্ট কুষ্টিয়া র্যাব অভিযান চালিয়ে সুমন আহমেদের বাড়ি থেকে ৩৫৪ পিস ইয়াবা ও ১৪ গ্রাম হিরোইন জব্দ করে। আটকের পরের দিন ১ সেপ্টেম্বর র্যাব বাদী হয়ে কুষ্টিয়া সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সেদিনই সুমনকে কারাগারে পাঠান আদালত। সুমন কুষ্টিয়ার খাজানগর সুবর্ণা অটো রাইস মিলের মালিক মোহাম্মদ জিন্নাহ আলীর দ্বিতীয় ছেলে। সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ল’ অ্যান্ড ল্যান্ড মেনেজমেন্ট বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২১
আরএ