সিলেট: সিলেটের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ। টিলাঘেরা ক্যাম্পাসটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কারো অজানা নয়।
শতবর্ষী এই ক্যাম্পাসকে আরও সবুজময় করতে ৭০ হাজারের মতো ফলদ, বনজ, ভেষজ বৃক্ষ। সেই সঙ্গে কলেজ ছাত্রাবাসের প্রবেশদ্বার থেকে রাস্তার দু’পক্ষে ফুলের চারা রোপণ করায় সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলেছে।
কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. সালেহ আহমদের প্রচেষ্টায় বিশাল এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে সিলেট বনবিভাগ। তৎকালীন আসাম প্রদেশের একমাত্র উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমসি কলেজের ইতিহাসে এর আগে এতো বড় পরিসরে বৃক্ষ রোপন হয়নি।
'দেশের বায়ু দেশের মাটি, গাছ লাগিয়ে করবো খাঁটি' স্লোগানকে সামনে রেখে নির্দিষ্ট দূরত্ব ও নিয়ম মেনে চারাগুলো রোপন করা হয়। উঁচুনিচু টিলায় সারি সারি গাছ ১৪৪ একরের ঐতিহ্যবাহী ক্যাম্পাসটির সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আগামী দু'বছর বনবিভাগ গাছগুলোকে রক্ষণাবেক্ষণ করবে। এছাড়াও কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ক্যাম্পাসে বেশকিছু গাছ লাগানো হয়।
এ বিষয়ে এমসি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. সালেহ আহমদ বলেন, ১২৯ বছরের পুরোনো এই বিদ্যাপীঠের অনেকগুলো টিলা আছে। যেগুলোতে প্রাকৃতিকভাবে বিভিন্ন আগাছা গজিয়ে উঠেছে। এই টিলাগুলো পরিষ্কার করে গাছ লাগানোর বিষয়টা প্রথম থেকেই মাথায় ছিল। এজন্য সিলেট বনবিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করি৷
তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ঠরা আমাদের আবেদনটি আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করে। এরপর কলেজ ছাত্রাবাসে প্রায় ৮০ হাজার বীজ বপন করে নার্সারি করা হয়। যেখান থেকে ৭০ হাজারের মতো চারা কলেজের বিভিন্ন স্থানে রোপণ করা হয়। গাছগুলোর পরিচর্যা এবং দেখভালের জন্য সবসময়ই কিছু মানুষ দায়িত্ব পালন করবেন। গাছগুলো বেড়ে উঠলে সিলেটের এই ক্যাম্পাসটি দেখতে আরও বেশি চমৎকার লাগবে বলে মনে করেন অধ্যক্ষ সালেহ।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২১
এনইউ/এসআইএস