গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জে ম্যানেজিং কমিটির দুই সদস্যের বিরুদ্ধে স্কুলের লোহার গেট বিক্রি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
মুকসুদপুর উপজেলার কৃষ্ণাদিয়া ৬ নম্বর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য কাজী মনির ও সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে স্কুলের পুরাতন লোহার গেটটি দেখতে না পেয়ে বিদ্যালয় চত্বরের বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করা হয়। কোথাও না পেয়ে প্রাথমিকভাবে গেটটি চুরি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য কাজী মনির ও সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন অন্য সদস্যদের কিছু না জানিয়ে নিজেদের ইচ্ছামতো কৃষ্ণাদিয়া বাজারের এক ওয়ার্কসপ ব্যবসায়ীর কাছে গোপনে গেটটি বিক্রি করে দেন।
অভিযোগে আরো জানা যায়, গেইটটি চুরি হওয়ার খবর শুনে হুমায়ুন মৃধা আশেপাশে ও ব্যবসায়ীদের কাছে খোঁজ নেন। তখন স্থানীয় লিটন শেখ নামে এক ব্যক্তি জানান, কৃষ্ণাদিয়া বাজারের ওয়ার্কসপ ব্যবসায়ী ইছানূরের গ্রামের বাড়ি বাউষখালিতে গেটটি রাখা আছে। সেখানে গিয়ে স্কুলের পুরাতন গেটটি দেখতে পাই। পরে গেটটি ওই রাতেই আবার বিদ্যালয় চত্বরে রেখে যাওয়া হয়।
অভিযোগকারী হুমায়ুন মৃধা বাংলানিউজকে জানান, ব্যবসায়ী ইছানূরের কাছে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককে নিয়ে গেলে গেটটি ম্যানেজিং কমিটির সদস্য কাজী মনির ও সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন বিক্রি করেন।
ওয়ার্কসপ ব্যবসায়ী ইছানূর জানান, কৃষ্ণাদিয়া গ্রামের কাজী হাবিবুর রহমানের (হবি) ছেলে মনির কাজী ও মান্নান শেখের ছেলে আনোয়ার শেখ বাহিরচর পাড়ার রিপনের ভ্যানে করে লোহার গেটটি আমার কাছে নিয়ে এসে বিক্রি করেন। গেইটটি ব্যবহারের যোগ্য বলে আমি আমার বাড়িতে নিয়ে যাই।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আনোয়ার শেখ বাংলানিউজকে বলেন, বিদ্যালয়ে নতুন গেট লাগানোর পর পুরাতন গেটটি অনেকদিন পড়ে ছিল। শুক্রবার কে বা করা এটি সরিয়ে ফেলেছে আমি তা বলতে পারবো না। আর আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা মোটেই সত্য নয়। গ্রাম্য রাজনীতির কারণে আমাকে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।
অপর অভিযুক্ত মনির কাজীকে তার মোবাইলে ফোন করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি। তবে তার বাবা হাবিবুর রহমান (হবি) কাজী জানান, আমার ছেলে কৃষ্ণাদিয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির বিদ্যুতসাহী সদস্য। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক নয়। এলাকার দ্বন্দ্বের কারণে এ অপবাদ উঠানো হয়েছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নীল রতন শীল বাংলানিউজকে জানান, গত শুক্রবার দুপুরে আমরা স্কুলের পুরাতন গেটটি যথা স্থানে দেখতে না পেয়ে ম্যানেজিং কমিটির সবাইকে জানাই। বিষয়টি জানাজানি হলে রাতের আধারেই আবার গেটটি বিদ্যালয় চত্বরে রেখে যায়। এ বিষয়ে শিক্ষা অফিসারের অনুমতিক্রমে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও অভিযুক্ত সদস্যদের নিয়ে বিষয়টির সত্যতা উদঘাটিত ও সমাধানের জন্য বৃহস্পতিবার বসা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২১
এনটি