ঢাকা: রাজধানীর ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলোতে স্বেচ্ছাচারিতা চলছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল প্যারেন্টস ফোরাম। এমনকি বাচ্চাদের অসুবিধার কথা কর্তৃপক্ষকে জানাতেও পারেন না তারা।
শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন ফোরামের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের সদস্য রিয়াজ আনোয়ার বলেন, স্কুলে গেলেও প্রিন্সিপাল বা ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে কথা বলা যায় না। তারা অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলেন না। তারা কী চায়, আমরা জানি না। আমাদের বাচ্চারা এখান থেকে কী শিখবে আমরা তো সেই শিক্ষা দিচ্ছি না শুধু বস্তা ভর্তি বই নিয়ে বসে থাকা ছাড়া।
শিক্ষার্থীদের টিকা দেওয়ার দাবি জানিয়ে ফোরামের যুগ্ন আহবায়ক মঞ্জুর সাকলায়েন বলেন, আমরা চাই আমাদের বাচ্চাদের টিকা নিশ্চিত করতে। আমরা স্কুল খুলে দেওয়াকে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে আমাদের আশঙ্কা এটা এক ধরনের ম্যাসাকার হবে। যদি তাদের টিকার আওতায় না নিয়ে আসা যায়। যুক্তরাষ্ট্রে স্কুল খুলে দেওয়ার পর একদিনে আড়াই লাখ শিশু আক্রান্ত হয়েছে।
বাংলাদেশ ইংরেজি মিডিয়াম স্কুল প্যারেন্টা ফোরাম দেড় বছর আগে গঠিত কমিটি ভেঙে দিয়ে শুক্রবার নতুন কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির আহ্বায়ক ব্যারিস্টার আফরোজা আক্তার বলেন, আমরা অনেকেই জানি না ২০১৭ সালে বিদেশি কারিকুলামে পরিচালিত বেসরকারি বিদ্যালয়ের নিবন্ধন বিধিমালা করা হয়েছে। আমরা বারবার বলেছি এই আইন করলে হবে না, এটার বাস্তবায়ন করতে হবে। অনেকেই বলেন যে, টাকা থাকলে পড়াবে, না হলে পড়াবে না। এটা ঠিক না। এটা আমাদের চয়েজ। আমরা তো আমাদের টাকা খরচ করছি। এই আইন করা হলেও সেটা মানা হয়না। কোন সচ্ছতা বা জবাবদিহিতা নেই। কোনো স্কুলেই আইনের বাস্তবায়ন নেই।
এ সময় সংবাদ সম্মেলন থেকে যেসব স্কুলের নিজস্ব ক্যাম্পাস রয়েছে, তাদের অন্তত ৫০ শতাংশ, আর যেসব স্কুল ভাড়া ক্যাম্পাসে তাদের অন্তত ৩০ শতাংশ টিউশন ফি হ্রাস করার দাবি জানানো হয়। একইসঙ্গে করোনাকালে বকেয়া টিউশন ফির জন্য কোনো শিক্ষার্থীকেই শিক্ষা গ্রহণের অধিকার থেকে না বঞ্চিত করা না হয়, সেই দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২১
এমইউএম/এসআইএস