খুলনা: ই-ফাইলিং যুগে প্রবেশ করছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি)। পাইলটিং হিসেবে রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টায় সেন্টার অব এক্সিলেন্স ইন টিচিং এন্ড লার্নিং (সিইটিএল) এ বিষয়ে তিন দিনের এক ওয়ার্কশপের আয়োজন করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটিসেল এই কর্মশালা পরিচালনা করবে বলে জানা গেছে। সকল স্কুলের ডিন ও ডিন অফিসের কর্মকর্তারা প্রথম দিনে এ ওয়ার্কশপে অংশ নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এই কর্মশালা শেষ হলে পর্যায়ক্রমে স্বল্প সময়ের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ক্ষেত্রে ই-ফাইলিং এর মাধ্যমে নথি চলাচল কাজ শুরু হবে।
এ বিষয়ে উপাচার্য দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই উদ্যোগ নেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমকে গতিশীল করতে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপায়নে এ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। ই-ফাইলিং ব্যবস্থা চালু হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজের গতি ও স্বচ্ছতা বাড়বে, সময় ও কাগজের খরচ সাশ্রয় হবে এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলে এ বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
বিগত নির্বাচনী ইশতেহারে ৩.২১ অনুচ্ছেদে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যের কথা উল্লেখ ছিল। এ পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি কাজের সেবাকে ডিজিটাল করতেই ই-নথির উদ্যোগ নেওয়া হয়। ই-নথির মাধ্যমে কাজ অনেক পরিবেশ বান্ধব এবং আর্থিকভাবে কম খরচে হয়। কাগজ মুক্ত ই-নথি ব্যবস্থাপনা সময় বাচায়। ২০১৬ সালে ই-নথি কার্যক্রম শুরু হয়। তবে গত বছর ৩০ জানুয়ারি ই-নথি কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।
চলতি বছরের মধ্যে দেশের সব সরকারি দপ্তরকে ই-নথি ব্যবস্থাপনায় এনে কাগজের ব্যবহার কমিয়ে আনাটাই সরকারের এ প্রকল্পের লক্ষ্য। ইতোমধ্যে সরকারি অনেক দপ্তরেই ই-নথি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় এ কার্যক্রম এখনও পুরোপুরি চালু হয়নি। এসডিজির ১৬ নম্বর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণে এটা সহায়ক হবে। এক্ষেত্রে সরকারের লক্ষ্য অর্জনের সঙ্গে সংগতি রেখেই খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ই-নথি ব্যবস্থাপনা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান উপাচার্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১
এমআরএম/কেএআর