জাবি: ‘ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের বসবাসে বন্যপশুরা নিরাপদ নয়’ পরিবেশ মন্ত্রীর এ বক্তব্য প্রত্যাহার ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
পরে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি সড়ক ঘুরে পরিবহন চত্ত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
এসময় দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান বলেন, “বন্য পশুরা দিন দিন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে, এর জন্য আদিবাসীরা দায়ী না বরং আমরা দায়ী। বনের ভিতর সমতলের লোকদেরই ইজারা দিয়ে চাষ করতে দেওয়া, আদিবাসীদের না। এ বছরের জানুয়ারি মাস থেকে এখন পর্যন্ত বনের মধ্যে ২৫টি হাতি হত্যা করা হয়েছে। এসবের কোনও সুষ্ঠু বিচার হয়নি। বন বিভাগের এসবে কোনও ভূমিকা নেই। প্রাণীদের রক্ষা করতে হলে আদিবাসীদের নিয়ে এরকম ‘অযাচিত’ মন্তব্য না করে যারা প্রকৃত দোষী তাদের খুঁজে বের করি শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি। ”
নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিবুল হক রনি বলেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে পরিবেশমন্ত্রীর বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রনোদিত। বনবিভাগ ও ফরেস্ট অফিসারের আড়ালে একটি নির্দিষ্ট চক্র কারেন্ট, বর্শা দিয়ে, হাতির করিডরে ফাঁদ পেতে বন্যপ্রাণী হত্যা করে আসছে। বন্যপ্রাণী হত্যা, পাহাড় দখল, পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণে সবসময় আদিবাসীরা বাধা দিয়ে আসছে। পাহাড়কে বানিজ্যিকীকরণের পথে আদিবাসীরা যেন বাধা হয়ে না দাঁড়ায় তাই বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে তাদের সরিয়ে দিতেই কাজ করে যাচ্ছে একটি চক্র।
এসময় শিক্ষার্থীরা আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান, হাতির করিডর নিরাপদকরণ, বন্যপ্রাণীদের নিরাপদ বাসস্থান নিশ্চিত, আদিবাসীদের ভূমি দখল করে পর্যটনকেন্দ্র নির্মাণ না করার দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত বুধবার (১৭ নভেম্বর) দেশের পাহাড়ি এলাকায় খাসিয়াসহ বেশ কিছু ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের বসবাসের কারণে বন্যপশুরা নিরাপদ নয় বলে মন্তব্য করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত ‘বন্য প্রাণীর অবৈধ বাণিজ্য দমনে আইন প্রয়োগ শক্তিশালী করার লক্ষ্যে পরামর্শ সভায় এ বক্তব্য দেন মন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০,২০২১
এনএইচআর