ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

উচ্চফলনশীল ধান উদ্ভাবনের চেষ্টায় হাবিপ্রবি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২
উচ্চফলনশীল ধান উদ্ভাবনের চেষ্টায় হাবিপ্রবি

দিনাজপুর: হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) কৃষি অনুষদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উচ্চফলনশীল নতুন জাতের ধান উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।  খরা ও বন্যাসহিষ্ণু ধানের জাতটি দ্বিগুণের বেশি ফলনশীল হবে বলে আশা করছেন গবেষকরা।

চলতি আমন মৌসুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা মাঠে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের যৌথ গবেষণায় এই নতুন জাতের ধান উদ্ভাবনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, অন্য প্রজাতির ধানের তুলনায় এই ধানের একটি শীষের শাখা-প্রশাখায় একটি ধানের জায়গায় প্রায় ৯টি পর্যন্ত ধান পাওয়া যাচ্ছে।

এই উচ্চফলনশীল ধানগাছটির আরেকটি অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো এর কাণ্ড শক্ত ও মজবুত হওয়ার কারণে রোপণ থেকে শুরু করে ধান উত্তোলন পর্যন্ত পুরো মৌসুমজুড়ে গাছ হেলে পড়ে না।

গবেষকদের দাবি, ধানগাছের পাতা শেষ পর্যন্ত সবুজ থাকার ফলে ফলন ভালো হবে এবং গবাদি পশুর গুণগত খাদ্য চাহিদাও পূরণ হবে।

এই ধান গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশীদ, কৃষিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোমিনুর রহমান এবং উদ্ভিদ প্রজনন ও কৌলিতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আরিফুজ্জামান। এই গবেষণায় আরও যুক্ত ছিলেন কৃষিতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী মামুনুর রশীদ, নূরী মারজান এবং উদ্ভিদ প্রজনন ও কৌলিতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সুমি সাহা।

উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মামুনুর রশীদ জানান, গবেষণাধীন এ উচ্চফলনশীল ধানের জাতটি আর কয়েক বছর পর্যবেক্ষণের পরেই কৃষকদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পারবেন। এতে করে কৃষকরা অধিক ফলন পাবেন।

তিনি আরও জানান, কৃষিবান্ধব সরকার, কৃষি মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগিতা পেলে এ রকম উচ্চফলনশীল ধানের জাত নিয়ে আরও গবেষণা চালিয়ে যেতে চান এবং দেশের কৃষি খাতে বিশেষ অবদান রাখতে চান।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২
এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।