ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষার্থীদের অজ্ঞতায় ভুগছে জবির আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট

মহিউদ্দিন রিফাত, ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২
শিক্ষার্থীদের অজ্ঞতায় ভুগছে জবির আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি): জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ভাষাভিত্তিক ইনস্টিটিউট মাত্র একটি। এর নাম আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট।

এই ইনস্টিটিউটের আসন সংখ্যা ৪০টি। তবে, এবার জবির ভর্তি কার্যক্রম শেষের দিকে হওয়ার পরেও আইএমএল ইনস্টিটিউটে এখনও পর্যন্ত ভর্তি হয়েছে মাত্র ২৩ জন শিক্ষার্থী। জবির একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে চাহিদা সংকট এবং শিক্ষার্থীদের ভর্তি হওয়ার আগ্রহ কম থাকার কারণকে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অজ্ঞতায় একমাত্র কারণ বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।

জানা গেছে, জবির আইএমএল ইনস্টিটিউটে তিন বছরের পথ চলার পরিধি হওয়াতে নেই কোন সেশনজট। তবে, আইএমএল বিষয়ে বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা থাকার জন্য তুলনামূলক চাহিদা একটু কম। অনেকেই মনে করেন আইএমএল একটা বিভাগ। কেউ আবার আইএমএলকে ইন্টারন্যাশনাল মডার্ন ল্যাঙ্গুয়েজ বলেন। আসলে আইএমএলের পূর্ণরূপ আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট। এর অধীনে বিভিন্ন ভাষার বিভাগ থাকতে পারে।

বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ ইনস্টিটিউট সম্পর্কে বলেন, আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ি তারা কমবেশি জানি যে ইনস্টিটিউটের অধীনে একাধিক ডিপার্টমেন্ট থাকে বা থাকতে পারে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইএমএলের অধীনে একটি মাত্র ডিপার্টমেন্ট চলমান, এর নাম ডিপার্টমেন্ট অব ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ। এই সাবজেক্ট আপনাকে মূলত ইংরেজি শিক্ষক বানিয়ে দেবে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অনেক গুরুত্ব পাওয়া যাবে। এছাড়া স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কিংবা বড় বড় কোম্পানিতে ইংরেজি ভাষার ট্রেনার হিসেবে বেশ চাহিদা থাকবে এবং লিঙ্গুইস্টের অপশন তো আছেই। তাছাড়া ইংরেজি সাহিত্য পড়েও যেমন ব্যাংকে চাকরি করা যায় এই সাবজেক্টে পড়ে তার কম হবে না। মূল বিষয় এই সাবজেক্টের সিলেবাসটা অত্যন্ত সুন্দর ও গোছালো। লিঙ্গুইস্টিকসের সামগ্রী জ্ঞান নিয়ে বহু রিসার্চই করা যেতে পারে। এই সাবজেক্ট প্রধানত শিক্ষক তৈরি করে। ভাষাবিদ ও হতে পারেন চাইলে।

এই সাবজেক্টের অন্যতম সুবিধা হলো ঘরোয়া পরিবেশে শেখা। আর মোটামুটি একটা বেসিক থাকলে অনায়াসে আপনি রেগুলার ক্লাস করে সিলেবাস শেষ করতে পারবেন। আবার চাইলে সামগ্রী আকারে রিসার্চ করে জ্ঞানের ভাণ্ডার পরিপূর্ণ করতে পারবেন। আর সাহিত্য যে অংশগুলো আমরা পড়ি তাতে মোটামুটি সব ক্যাটাগরিই কভার হয়ে যায়। তবে, আরও বেশি পড়া গেলে হয়তো অনেকের কাছে সাবজেক্ট আরও ইন্টারেস্টিং হতো। এখানে আরেকটা সমস্যা আছে বেশিরভাগই মুখস্ত পড়ে সবাই। তবে, আপনি যদি সত্যিই বুঝে পড়ে থাকেন আপনার রেজাল্ট আরও ভালোর দিকেই থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইএমএল ইনস্টিটিউটের শিক্ষিকা ড. প্রতীভা রানি কর্মকার বলেন, আইএমএল বিষয়টা জবিতে একেবারেই নতুন। অভিভাবকরা অনেক সময় না বুঝে আইএমএলের গুরুত্ব কম দেয়। আসলে ইংরেজি সাহিত্য ও ইংরেজি ভাষার মধ্যে নামের বা অর্থগত পার্থক্য থাকলেও কার্যগত কোন পার্থক্য নেই। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অনুপাত ও শিক্ষা সুলভ পরিবেশে আমরা অনেক ভালো আছি। আমাদের কিছু ত্রুটি ছিল প্রশাসনের সহায়তায় তা সমাধান হয়েছে। তবে, আমাদের শিক্ষার্থীরা এখনও গ্রাজুয়েশন শেষ না করতে পারায় শিক্ষার্থীদের চাকরির ক্ষেত্রগুলো বা তাদের আউটপুটটা এখনও বুঝতে পারিনি। তবে, চাকরির ক্ষেত্রে সব জায়গায়তেই এর গুরুত্ব অনেক।

আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের পরিচালক খন্দকার মোন্তাসির হাসান বলেন, আইএমএল বিষয়টি ছোট করে দেখার কোন সুযোগ নেই। পার্থক্য শুধু ইংরেজি সাহিত্য এবং ইংরেজি ভাষা। বাস্তবিক জীবনে এই বিষয়ের গুরুত্ব অনেক বেশি। যেকোন জায়গায় ইংরেজি ভাষার গুরুত্বের কোন কমতি নেই সুতরাং আমাদের শিক্ষার্থীরা যে কোথাও কম সুযোগ পাবে এটা ভেবে থাকলে ভুল। আইএমএল সাবজেক্টটা সবার কাছে পরিচিত না অন্যান্য সাবজেক্ট এর মতো। যে কারণে এটার গুরুত্বটা তারা মডিফাই করতে পারে না। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা যখন বুঝতে পারে তখন আইএমএলকে ভালোবাসে। এখান থেকে আর যেতে চায় না। আগে আমাদের কিছু সংকট ছিল। কিন্তু প্রশাসনের নির্দেশনা তা পরিপূর্ণ হয়েছে। আইএমএল ইনস্টিটিউট এগিয়ে চলছে, এগিয়ে যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।