ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

জবিতে এলাকাভিত্তিক সংগঠনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ, ক্ষুদ্ধ ছাত্রনেতারা

মহিউদ্দিন রিফাত, ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০০ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২২
জবিতে এলাকাভিত্তিক সংগঠনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ, ক্ষুদ্ধ ছাত্রনেতারা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এলাকাভিত্তিক ছাত্রকল্যাণ সংগঠনগুলোর সভা-সমাবেশ ক্যাম্পাসের ভেতরে নিষিদ্ধ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সোমবার উপাচার্যের আদেশক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো.ওহিদুজ্জামান এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে সভা-সমাবেশ ও জমায়েত বন্ধের নির্দেশনা দেন।

 

এর আগেও ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল এক নিষেধাজ্ঞা জারি করে অঞ্চলভিত্তিক সংগঠনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কী কারণে তা বন্ধ করা হয়েছে তারও কোনো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি বিজ্ঞপ্তিতে। প্রশাসনের এই নির্দেশে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক ছাত্রনেতারা। তাদের মতে প্রশাসন যথাযথ কারণ ছাড়া এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। অঞ্চল ভিত্তিক সংগঠন অর্থাৎ ছাত্র কল্যাণ সংগঠন থেকে অনেক শিক্ষার্থী বিভিন্নভাবে উপকৃত হয়ে থাকে। ভাতৃত্ববোধ ধরে রাখতে আঞ্চলিক সংগঠন অর্থাৎ ছাত্র কল্যাণ সংগঠনের গুরুত্ব অনেক বেশি।  

এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাসেল বলেন, একটা বিশ্ববিদ্যালয় মানে ক্লাস অ্যাসাইনমেন্ট পরীক্ষাতেই সীমাবদ্ধ নয়। বিশ্ববিদ্যালয় মানে বৈশ্বিক একটা বিষয়। একটা অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে আসবে, তাদের নিজেদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক তৈরি হয় একে অপরকে জানতে পারে। অনেক অসচ্ছল শিক্ষার্থীরা আর্থিক সুবিধাও পেয়ে থাকে। অঞ্চলভিত্তিক সংগঠন অবশ্যই দরকার আছে।

জবি ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী বলেন, ইদানিং দেখা যাচ্ছে ছাত্র কল্যাণের পদ পদবী নিয়ে কয়েকটা সংগঠনে মারামারি,হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এগুলো খুবই অপ্রীতিকর। এমন আঞ্চলিক সংগঠনকে কেন্দ্র করে মারামারি হোক ক্যাম্পাসে নিজেদের মধ্যে তা আমরা চাই না।

জবি ছাত্রদল নেতা হিমেল বলেন, অঞ্চলভিত্তিক সংগঠন অর্থাৎ ছাত্রকল্যাণ হলো ভাতৃত্ববোধ জাগ্রতহবার একটা প্লাটফর্ম, যেখানে একটা অঞ্চলের মানুষ এই শহরে গুচ্ছভাবে মিলেমিশে থাকতে পারে। একে অপরের সঙ্গে পরিচিত হতে পারে যা বিভিন্ন সময়ে নানা রকম উপকারে আসে। অঞ্চলভিত্তিক সংগঠন থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কী ক্ষতি আমার বোধগম্য নয়।

ছাত্র ইউনিয়নের রুহুল বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন হটকারি সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই। মনইচ্ছা সিদ্ধান্ত প্রশাসন নিতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র কল্যাণ সংগঠন অবশ্যই দরকার আছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম বলেন, অঞ্চলভিত্তিক ছাত্র কল্যাণ সংগঠনগুলো তাদের কার্যক্রম চালাতে পারবে। তবে শিক্ষার্থীরা কোনো প্রকার সমাবেশ করতে পারবে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, ছাত্র কল্যাণ সংগঠনগুলো তাদের কার্যক্রম ক্যাম্পাসের বাইরে চলমান রাখবে। ছাত্র কল্যান সংগঠনের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক কমিটি হচ্ছে। এটা নিয়ে আন্তকোন্দল সৃষ্টি হচ্ছে এদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সকল কার্যক্রম বাইরে চলমান রাখবে আঞ্চলিক সংগঠনগুলো।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২২
এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।