ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

শাবিপ্রবিতে উদ্ভাবিত টি-কোলা পরিদর্শন করলো ইউজিসি

শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৮ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২২
শাবিপ্রবিতে উদ্ভাবিত টি-কোলা পরিদর্শন করলো ইউজিসি

শাবিপ্রবি (সিলেট): চা নিয়ে গবেষণা করে দেশে প্রথমবারের মতো পানীয় হিসেবে টি-কার্বনেটেড বেভারেজ (টি-কোলা) উদ্ভাবন করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) একদল গবেষক।

চলতি বছর ৯ মার্চ বাংলানিউজে প্রথম সংবাদ প্রকাশের পর দেশব্যাপী সাড়া ফেলে শাবিপ্রবিতে উদ্ভাবিত এই টি-কোলা।

এ উদ্ভাবনের খুঁটিনাটি জানতে প্রকল্পটি পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ইনোভেশন টিমের সদস্যরা।

সোমবার (৩০ মে) রাতে পরিদর্শনের বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত কর ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনলজি (এফইটি) বিভাগের অধ্যাপক ও টি-কার্বনেটেড বেভারেজ গবেষক দলের প্রধান অধ্যাপক ড. ইফতেখার আহমেদ।

এ গবেষক জানান, শাবিপ্রবিতে চা নিয়ে নানান গবেষণা পরিচালিত হয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা টি-কার্বোনেটেড বেভারেজ তৈরির কথা চিন্তা করি করা হয়। চলতি বছরের মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময়ে চা থেকে কোমলপানীয় বা টি কার্বনেটেড বেভারেজ তৈরিতে সফল হই। ইতোমধ্যে সারাদেশে এ উদ্ভাবন সাড়া ফেলেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ইউজিসির সচিব ফেরদৌস জামানের নেতৃত্বে ইনোভেশন টিম প্রকল্পটি পরিদর্শন করেছেন।

ড. ইফতেখার আহমেদ বলেন, এই টি-কোলা তৈরি করতে যেসব কাঁচামাল প্রয়োজন তার অধিকাংশ আমাদের দেশেই রয়েছে। এতে পণ্যটি তৈরি করতে অন্যান্য বেভারেজের (পানীয়) চেয়ে কম খরচ হবে। তাই এর দাম ও সীমিত থাকবে।

প্রকল্প পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন টিমের সদস্য ইউজিসির জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের  সদস্য ও ইনোভেশন টিম পরিচালক এ কে এম শামসুল আরেফিন, আইএমসিটি বিভাগের পরিচালক ও ইনোভেশন অফিসার মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া, পাবলিক বিশ্ব ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপ-পরিচালক ও ইনোভেশন টিমের সদস্য মৌলি আজাদ, অর্থ ও হিসাব বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও ফোকাল-পয়েন্ট রবিউল ইসলাম। পরিদর্শনকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. জিএম রবিউল ইসলাম, উদ্ভাবক দলের সদস্য নাবিল নওরোজ বৈশাখ এবং মো. আল ইমরান জাকারিয়া উপস্থিত ছিলেন।

এসময় ইউজিসির ইনোভেশন টিমের সদস্যরা প্রকল্পটির ভূয়সী প্রশংসা করেন। পাশপাশি প্রকল্পটি নিয়ে নানা পদক্ষেপের কথা জানান। এছাড়া প্রকল্পটি বড় পরিসরে বাজারজাত করণে নানা উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন তারা।

বাংলাদেশ সময়: ০০২১ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০২২
এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।