ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

পঁচাত্তরের খুনি চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চায় ঢাবির শিক্ষক সমিতি

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৭ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০২২
পঁচাত্তরের খুনি চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চায় ঢাবির শিক্ষক সমিতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ক্যাম্পাসে অস্থিরতাসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি প্রদানের প্রতিবাদে বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতি।

শুক্রবার (৩ জুন) সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক নিজামুল হক ভূ্ইয়া স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

 

এতে বলা হয়, সম্প্রতি শিক্ষাঙ্গনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করার অপপ্রয়াস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও পাকিস্তানিদের দোসর সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর মদতদাতাদের ষড়যন্ত্র ও আস্ফালন শুরু হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারী পঁচাত্তরের খুনি চক্র নতুন করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ১৯৭৫-এর কালো অধ্যায়ের প্রসঙ্গ টেনে তারা জাতির পিতার সুযোগ্য উত্তরসূরী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাসহ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি প্রদান তার নগ্ন বহিঃপ্রকাশ বলে আমরা মনে করি। একইসঙ্গে এ অপতৎপরতা দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা বিঘ্নিত করার ষড়যন্ত্র বলে প্রতীয়মান হয়।  

সম্প্রতি ঢাবি ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের সশস্ত্র অনুপ্রবেশের অপচেষ্টা এবং ষড়যন্ত্রকারীদের অপতৎপরতায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
 
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ঢাবির বিবেকবান শিক্ষক সমাজ এ ধরনের ঘৃণ্য তৎপরতার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ জানাচ্ছে। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নিত করা এবং দেশে বিরাজমান গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা বিনষ্ট করার যেকোনো অশুভ তৎপরতাকে প্রতিহত করে শিক্ষাঙ্গনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, দেশের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন নাগরিকরা এসব পরাজিত অপশক্তির অপতৎপরতাকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান ও প্রতিহত করবে। ঢাবি শিক্ষক সমিতি এসব অপশক্তিকে খুঁজে বের করে আইনি প্রক্রিয়ায় কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছে।
 
অপরদিকে আওয়ামীপন্থি নীল দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস ছামাদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতেও একই দাবি করা হয়েছে।  

এতে বলা হয়, দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র অতিক্রম করে অমিত সাহসী রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার দৃঢ়তায় নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ২৫ জুন সেতু উদ্বোধনের তারিখও ঘোষণা করা হয়েছে। এই সেতু চালু হলে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি তথা জনগণের আত্মবিশ্বাসে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে। শত ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে যখন পদ্মা সেতু উদ্বোধন হতে যাচ্ছে, সে মুহূর্তে জনগণের মনোযোগ ভিন্নখাতে সরিয়ে নিতে এ ধরনের অপতৎপরতা শুরু হয়েছে বলে আমরা মনে করি। পদ্মা সেতুতে বিদেশি অর্থায়ন বন্ধ করেও প্রকল্পটি বাতিল করতে না পেরে তারা ভিন্ন কৌশলে এর কৃতিত্বকে ম্লান করতে চাইছে। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বক্তব্য প্রদানসহ পঁচাত্তরের প্রসঙ্গ টেনে এনে প্রকারান্তরে তাঁকে হত্যার হুমকি প্রদান করা হচ্ছে। কিন্তু তারা ভুলে গেছেন এদেশের মাটিতে পঁচাত্তরের কালো অধ্যায়ের পুনরাবৃত্তি আর কোনোক্রমেই সম্ভব নয়। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষ শক্তি এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সজাগ ও সক্রিয়।
 
এতে আরো বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ এ ধরনের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করছে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিঘ্নিত করা এবং দেশে বিরাজমান শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে বিনষ্ট করার যে কোনো অশুভ তৎপরতাকে প্রতিহত করে শান্তিপূর্ণ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা বদ্ধ পরিকর। আমরা বিশ্বাস করি দেশের শুভবুদ্ধি সম্পন্ন নাগরিকরা অন্ধকারের শক্তির এ ধরনের অপতৎপরতাকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান ও প্রতিহত করবে। খুনিচক্রের দোসর ও মদতদাতাদের নতুন ষড়যন্ত্রের নীলনকশা উন্মোচন করে ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিতে আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪১ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০২২
এসকেবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।