ঢাকা : বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অনির্দিষ্টকালের জন্য সাময়িক বরখাস্তের আদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের সাময়িক বরখাস্তের মেয়াদকাল নির্ধারণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
রোববার এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহা-পরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহীর চেয়ারম্যানসহ ৯ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদন করেন বিভিন্ন সময়ে সাময়িক বহিষ্কৃত হওয়া ৬ জন শিক্ষক।
রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এবিএম নুরুল ইসলাম ও মো. গিয়াসউদ্দিন।
এবিএম নুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ‘মৌলিক অধিকার বিধির ৫৩ ধারা অনুযায়ী একজন শিক্ষক কর্মচারীকে সর্বোচ্চ ৩ মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা যেতো। ৩ মাস পরে যথারীতি বরখাস্তের আদেশ উঠে যেতো। কিন্তু ১৯৯৬ সালে এ নিয়মটি বাতিল করা হয়। এরপর সাময়িক বরখাস্তের কোনো টাইম ফ্রেম নেই। কোনো কোনো শিক্ষক প্রায় ৮ বছর ধরে বরখাস্ত হয়ে আছেন। ’
৬ জন আবেদনকারীরর মধ্যে দুই নম্বর আবেদনকারী মো. জালাল উদ্দিন। তিনি জয়পুরহাটের তালিমুল ইসলাম একাডেমী স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপাল। ২০০৪ সালের ৫ ডিসেম্বর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। আজও তার সাময়িক বরখাস্তের আদেশ বহাল রয়েছে।
বাংলাদেশ সময় : ১৭২৫ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১২