ঢাকা, শুক্রবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৭ মে ২০২৪, ০৮ জিলকদ ১৪৪৫

শিক্ষা

কাজ না পেলে ইবি অচলের হুমকি ঠিকাদারদের

ইবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৮ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২২
কাজ না পেলে ইবি অচলের হুমকি ঠিকাদারদের

ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মেগা প্রকল্পের অধীনে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের কাজ না পেলে প্রতিষ্ঠান অচল করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন স্থানীয় ঠিকাদাররা।

রোববার (১৯ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে ইবি ঠিকাদার সমিতির ব্যানারে এক মানববন্ধনে এ হুমকি দেওয়া হয়।

প্রায় অর্ধশত ঠিকাদার মানববন্ধন অংশ নেন। দাবি না মানা হলে বিশ্ববিদ্যালয়সহ আরও কিছু হুমকি দেন তারা।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী শহিদ উদ্দিন মো. তারেক এবং পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক আলী হাসানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ করেন ঠিকাদাররা।

ঠিকাদার রেজাউল করিম খান বলেন, আমাদের বাপ-দাদার জায়গায় এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু আমাদেরকে বাদ দিয়ে বাইরের ঠিকাদারদের কাজ দিয়ে আমাদের পেটে লাথি মারা হচ্ছে। বর্তমান দুর্নীতিবাজ প্রধান প্রকৌশলী প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি করে চলেছে। প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আমাদের বিষয়টা যদি আমলে না নেন তাহলে আমরা কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে বাধ্য হবো।

আশিকুর রহমান জাপান নামে এক ঠিকাদার বলেন, যারা অতীতে কাজ করে এসেছে তাদেরকে কাজ না দেওয়ার জন্য সু-পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে আঁতাত করে আমাদের কাজ থেকে বিরত করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে, তাহলে গণআন্দোলন গড়ে তুলবো। প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়কে অচল করে দেওয়া হবে।

তবে প্রকৌশল দপ্তর জানিয়েছে, নীতিমালা মানতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান মেগা-প্রকল্পের অধীন উন্নয়ন কাজের ঠিকাদারি কাজ স্থানীয় ঠিকাদারদের না দেওয়ায় প্রশাসনকে চাপে ফেলতে তারা এসব কার্যক্রম চালাচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মুন্সী শহিদ উদ্দিন মো. তারেক জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের মেগা-প্রকল্পের অধীন নির্মাণাধীন ভবনগুলোর আসবাবপত্রের জন্য মোট ২৪ কোটি ৬৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। সরকারি ক্রয় নীতিমালা অনুযায়ী এ বরাদ্দ সর্বোচ্চ পাঁচ অংশে ভাগ করে কাজ করতে হবে। বর্তমানে আমাদের ছয় কোটি টাকার কাজ করা প্রয়োজন। আমরা একে তিন কোটি করে দুটি অংশে ভাগ করেছি। কিন্তু এককভাবে স্থানীয় ঠিকাদাররা এই পরিমাণের কাজ করতে সক্ষম নয়। এ ছাড়া তাদের কাজের মানও ভালো না। তাই নীতিমালা মানতে আমাদের বাহিরের প্রতিষ্ঠানকে কাজ দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় ঠিকাদাররা ২৫ লাখ টাকা করে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে তাদেরকে দেওয়ার দাবি করছেন। কিন্তু নীতিমালা অনুযায়ী এটা বে-আইনি। তাই এটি করা সম্ভব নয়। তবুও তারা দাবি আদায়ে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছে। আর প্রশাসনের মুখপাত্র হিসেবে আমি কাজ করি, এজন্য তারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।