ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

রসিক ভোট

১৮০৭টি সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ, সমস্যা হলেই ভোট বন্ধ: ইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২২
১৮০৭টি সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ,  সমস্যা হলেই ভোট বন্ধ: ইসি

ঢাকা: রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনের ভোট গ্রহণ এক হাজার ৮০৭টি সিসি ক্যামেরা দিয়ে পর্যবেক্ষণ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হলেই নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হবে ভোট নেওয়া।

সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) ইসির আইডিইএ প্রকল্পের ডিপিডি কমিউনিকেশন স্কোয়াড্রন লিডার মো. শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, ২২৯টি কেন্দ্রেই সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। এক্ষেত্রে এক হাজার ৮০৭টি সিসি ক্যামেরা থাকছে।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত টানা এই সিটির ভোটগ্রহণ করবে ইসি। এনিয়ে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বেগম বলেছেন, কোনো সমস্যা দেখা গেলে গাইবান্ধার মতো সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।

চলতি বছরের গত ১২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণে ব্যাপক অনিয়ম পেলে পুরো নির্বাচন বন্ধ করে দেয় ইসি। পরবর্তীতে আগামী ৪ জানুয়ারি এই নির্বাচনের নতুন তারিখ ঘোষণ করেছে তারা।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) যুগ্ম সচিব এসএম আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, ভোট পর্যবেক্ষণে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। এক্ষেত্রে পুলিশ, আনসার ও ভিডিপির সমন্বয়ে সাধারণ কেন্দ্রে ১৫ জনের এবং ঝুঁকিপূর্ণ ৮৬টি কেন্দ্রে ১৬ জনের ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।

এছাড়া নির্বাহী ও বিচারিক হাকিম নিয়োগ করা হয়েছে ৪৯ জন। এদের মধ্যে নির্বাহী হাকিম ৩৩ জন ও বিচারিক হাকিম রয়েছেন ১৬ জন। তারা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা ও সংক্ষিপ্ত বিচার কাজ সম্পন্ন করবেন। সেই সঙ্গে র‌্যাব, বিজিবির একাধিক টিম ভোটার এলাকায় রয়েছে ভ্রাম্যমাণ ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে।

রসিক নির্বাচনে মোট প্রার্থী ২৬০ জন। তাদের মধ্যে মেয়র পদে নয় জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৮৩ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মেয়র পদে ৯ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হলেন- জাতীয় পার্টির (জাপা) মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) শফিয়ার রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল রাজু, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু রায়হান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান বনি ও লতিফুর রহমান মিলন।

নির্বাচনে দুই লাখ ১২ হাজার ৩০২ জন পুরুষ এবং দুই লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন নারী ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। ভোটগ্রহণ করা হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)।

২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর এই সিটিতে সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা হয়েছিল ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। সে মোতাবেক এ সিটির বর্তমান নির্বাচিতদের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি।

>>> আরও পড়ুন: সংসদ নির্বাচনে সিসি ক্যামেরার ব্যবহার নিয়ে সংশয়

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০২২
ইইউডি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।