ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাঙচুর, ফাঁকা গুলি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট   | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১২৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২২
ফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাঙচুর, ফাঁকা গুলি

দিনাজপুর: দিনাজপুরে বিরল পৌরসভা ও রাজারামপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে ও রাতে যথাক্রমে ঘটনা দুটি ঘটে।

দুই ঘটনায় আনসারসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।

বিকেলে বিরল পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ব্রহ্মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ফল ঘোষণার পর ইভিএম মেশিন থেকে পাওয়া কপি দেখতে চেয়ে হট্টগোল শুরু করেন পরাজিত প্রার্থীদের সমর্থকরা। এ সময় নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিতদের কেন্দ্র থেকে বের হতে বাধা দেন তারা।

পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ীতে করে নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে আসার চেষ্টা করলে প্রার্থীর সমর্থকরা ইট-পাটকেল ছোড়েন। এতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসানের গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায়। এ ছাড়াও প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ, পুলিশ ও আনসার সদস্যসহ কমপক্ষে পাঁচজন আহত হন।

বিরল উপজেলার রাজারামপুর ইউনিয়নের কানাইবাড়ী কেন্দ্রে ফল ঘোষণার পর রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাগজপত্র ভুল আছে দাবি করে কেন্দ্র ঘেরাও করেন পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকরা। এ সময় তারা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ও সরকারি মালামাল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। পরে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ ও আনসার গেলে তাদের ওপর ইট পাটকেল ছোড়েন।  

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, গাড়ি ও সরকারি মালামাল নিয়ে ফেরত যায় পুলিশ। এই ঘটনায় পুলিশ ও আনসার সদস্যসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।  

হামলার বিষয়ে জানতে বিরল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফছানা কায়সারের ফোন নম্বরে একাধিকবার কল করা হয়। তবে তিনি কল রিসিভ করেননি।

হামলার বিষয়ে দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জিন্নাহ আল মামুন বলেন, দুটি ঘটনাই নির্বাচনের ফলকে কেন্দ্র করে। দুই ঘটনায় পুলিশ ও আনসার সদস্যসহ কয়েকজন আহত হয়েছেন। আমরা একটি কেন্দ্রে সরকারি মালামাল রক্ষা ও নিজেদের নিরাপত্তায় কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছি।  

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম প্রামাণিক বলেন, ফল ঘোষণার পর দুটি কেন্দ্রে হামলা হয়েছে। এতে আমাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাংচুর হয়েছে। ব্রহ্মপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবদুল লতিফ (জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী) আহত হয়েছেন। এ ছাড়া পুলিশ ও আনসার সদস্যরা আহত হয়েছেন। আমাদের নির্বাচনী সরঞ্জামাদি নিরাপদ রয়েছে। হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা মামলা দায়ের করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২২
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।