ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

চলমান ইভিএম প্রকল্পের মেয়াদ বাড়তে পারে এক বছর

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২৩
চলমান ইভিএম প্রকল্পের মেয়াদ বাড়তে পারে এক বছর

ঢাকা: দুই লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার প্রকল্পটি সরকার আর্থিক সংকটের কারণে স্থগিত করে দেওয়ায় চলমান প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে এক বছর বাড়তে পারে মেয়াদ।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এক লাখ ৫৪ হাজার ইভিএম কেনা হয়। তবে সে সময় প্রস্তুতি না থাকায় মাত্র ছয়টি আসনে যন্ত্রটি ব্যবহার করা হয়।  

এছাড়া গত চার বছরে ওই মেশিনগুলো দিয়েই স্থানীয় নির্বাচনগুলো ও উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ করে ইসি। এক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, নির্বাচন কার্যালয়ে যা সংরক্ষণ করা হয়। এতে কিছু মেশিন খোয়া যাওয়া ছাড়াও ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে।  

এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ভোটের পরিকল্পনা নিয়ে সরকারকে নতুন করে আট হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার প্রকল্প নেওয়ার জন্য প্রস্তাব দেয় সংস্থাটি। এক্ষেত্রে সাড়ে তিন লাখ মেশিন পেলে অর্ধেক আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্তে নেওয়া হয়। তবে নতুন প্রকল্প পাস না হলে চলমান প্রকল্পের মেশিনগুলো দিয়ে যতগুলো আসনে সম্ভব ততগুলো আসনেই ব্যবহারের ভাবনাও রাখে ইসি।  

গত ২২ জানুয়ারি সরকার সেই প্রস্তাব ‘আপাতত প্রক্রিয়াকরণ’ না করার সিদ্ধান্ত জানালে চলমান প্রকল্পটিতে এগিয়ে নেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় ইসি। আর সে মোতাবেকই সরকারকে প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।

ইসির পরিকল্পনা অনুযায়ী, চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে অথবা আগামী বছরের জানুয়ারিতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর চলমান ইভিএম প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হবে জুনে। তাই আরও এক বছর মেয়াদ বাড়াতে চায় সংস্থাটি।  

ইভিএম প্রকল্প পরিচালক কর্নেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান বলেন, সে সময় (২০১৮ সালে) নেওয়া প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী জুনে। আর নতুন প্রকল্প প্রস্তাব স্থগিত হওয়ায় এক্সিজটিং যেটা আছে সেটা নিয়েই যতগুলো পারা যায় আমরা সেভাবেই চেষ্টা করছি। প্রকেল্পর মেয়াদ শেষ, সেটাই এখন গুছাচ্ছি। আগের যেটা ছিল সেটা ছাড়া তো আর অল্টারনেটিভ নেই।  

মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে তিনি জানান, সামনে নির্বাচন আছে সেটাকে নিয়ে একটা প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে যে মেয়াদে প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা সেটা দেওয়া হচ্ছে। আর জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আরেকটা দেওয়া হচ্ছে।  

কিছু ইভিএম ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছিল সেগুলোর অবস্থা জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক বলেন, প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) ২০ হাজার রেডি করে দিয়েছে। আরও ২৫ হাজার দেবে।  

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ইতোমধ্যে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন চলমান প্রকল্প থেকে কতটি আসনে ইভিএমে ভোট করা যাবে। তিনি বলেন, আমাদের যে ইভিএম আছে এতে ৫০টা, ৪০টা বা ৩০ টা এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি। যে মেশিনগুলো আমাদের কাছে আছে সেগুলো যদি কার্যকর থাকে আমরা কিউসি করছি, আমরা যতটা (আসনে) সম্ভব আমরা নির্বাচন করতে পারবো। তবে বিষয়টা আমরা নিশ্চিত নই, আগে জানতে হবে কতগুলো ইভিএম মেশিন সঠিক আছে।  

তবে অন্য নির্বাচন কমিশনাররা বলেছেন, চলমান প্রকল্প থেকে ৭০টির মতো আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২৩
ইইউডি/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।