ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

৬ আসনে উপ-নির্বাচন

সুন্দর ভোটের সব আয়োজন করেছি: রাশেদা সুলতানা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৩
সুন্দর ভোটের সব আয়োজন করেছি: রাশেদা সুলতানা

ঢাকা: নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা বলেছেন, আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদের ৬টি শূন্য আসনের উপ-নির্বাচন সুন্দরভাবে সম্পন্নের জন্য সব আয়োজন শেষ করা হয়েছে। এ জন্য দেড়গুণ ইভিএম সরবরাহ করা হয়েছে।

এছাড়া সবাই যাতে নির্বেঘ্নে ভোট দিতে পারে সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

বিএনপির এমপিদের পদত্যাগে শূন্য ঘোষিত ৬টি আসনে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এগুলো হলো- ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪ ও ৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও ৩ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন।

রাশেদা সুলতানা বলেন, ইতোমধ্যে সকাল সাড়ে ৮টায় উপ-নির্বাচনের প্রচার শেষ হয়েছে। ব্যালটে না, ৬াট আসনেই ভোটগ্রহণ করা হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম)। এজন্য যে পরিমাণ দরকার তার দেড়গুণ মেশিন দেওয়া হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও পর্যাপ্ত মোতায়েন করা হয়েছে। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, সেজন্য যা যা করা দরকার আমরা সব আয়োজন করেছি।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যতগুলো দফতর আছে সেগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করা হচ্ছে। সিসি ক্যামেরা যখন ছিল না তখনো কিন্তু ভাল ভাল নির্বাচন হয়েছে। আন্তরিকতা ও সততা নিয়ে কাজ করতে পারাটা একটা বড় শক্তি। আমি নিজে চাঁপাইনবাবগঞ্জ গেলাম, বগুড়া-২ আসনে গিয়েছি, ঠাঁকুরগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রি.জে (অব.) আহসান সাহেব গেলেন। আমাদের দুই জনেরই পর্যবেক্ষণ হচ্ছে একটা সুন্দর, শক্ত সহাবস্থান, পারস্পরিক শ্রদ্ধা দেখেছি। মাঠ প্রশাসন বলেছে আপনারা চিন্তা করবেন না। কমিশন যেভাবে আমাদের নির্দেশনা দেবেন, আমরা সেভাবেই নিরপেক্ষ একটা সুন্দর নির্বাচন করব। ওনারা আমাদেরকে এভাবে বলেছেন, আমরা বিশ্বাস করি এক প্রাণ হয়ে সবাই কাজ করলে ভালই নির্বাচন হবে। এটাই আমাদের শক্তি। মানে ইউনিটি যেটা, এটা আমাদের শক্তি বলে মনে করছি।

প্রথমবারে মতো আপনাদের কমিশন সিসি ক্যামেরা ছাড়া নির্বাচন করছেন, এতে তুলনামূলক চিত্র পাওয়া যাবে কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, সিসি ক্যামেরা ছাড়া কী হয়, এটাও একটা তুলনামূলক পরীক্ষা হতে পারে, যে কী ধরনের রেজাল্ট আসে।

সাবেক এই জেলা জজ বলেন, আমাদের কেবল নির্বাচন কমর্মকর্তা নিয়ে কাজ, তা নয়। সাংবাদিকদের নিয়েও আমরা কাজ করি। আপনারাও যদি একটু সচেতন থাকেন। সবার হাতে মোবাইল। তথ্য পাওয়াটা বোধ হয় কঠিন না। তথ্য পেলে সেটা যদি নির্ভরযোগ্য হয় আমরা যে কোনো সিদ্ধান্ত হয়তো নিতেই পারি। ক্ষমতা তো দেওয়াই আছে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিসি ক্যামেরার ব্যবহার প্রসঙ্গে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, সিসি ক্যামেরা করব, কি করব না সেই সিদ্ধান্ত নেইনি। আইনে সিসি ক্যামেরার কথা বলা নেই। আমরা ভাবলাম করে দেখিনা কী হয়, তাই ব্যবহার করেছি। এছাড়া সংলাপের সময় বিভিন্ন মহল থেকে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের সুপারিশও ছিল।

৩০০ আসেনর সিসি ক্যামেরার ম্যানেজমেন্ট, বাজেট এই নিয়ে আলোচনা করে আসছি। করতে পারব কিনা এটা নিয়ে এখনই বলতে পারবো না। কত বাজেট আনতে পারব, কী পদ্ধতিতে যাবে এমন না জেনে আসলে বলা যাবে না। এখনো আমরা মনে করছি যে সিসি ক্যামেরা হলে ভাল হয়। আমরা ভালটার দিকেই যেতে চাইব। তবে  যেহেতু আর্থিক সামর্থ একটা বড় জিনিস। তাই কমিশন চাইলেই পারবে না। পরিবেশ, পরিস্থিতি অনুকুলে থাকলে দেব। আমাদের শতভাগ ইচ্ছা আছে। ভোট ভাল করার জন্য যা যা দরকার সবই আমরা করতে চাই।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৩
ইইউডি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।