ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

চট্টগ্রাম-৮ ভোট: ঋণখেলাপিদের তথ্য চায় ইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪১ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০২৩
চট্টগ্রাম-৮ ভোট: ঋণখেলাপিদের তথ্য চায় ইসি

ঢাকা: চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ-নির্বাচনে কোনো ঋণ খেলাপি যেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে, সেজন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে তথ্য চেয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান (০৭ মার্চ) জানিয়েছেন ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবের কাছে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী ২৭ এপ্রিল চট্টগ্রাম-৮ শূন্য আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি অনুসারে ঋণ খেলাপি ব্যক্তিরা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন না। এই নির্বাচনে ঋণ খেলাপি ব্যক্তিরা মনোনয়নপত্র দাখিল করলে যাতে তাদের প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করা যায়, তার জন্য আইনে নির্ধারিত সব ব্যাংক হতে ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করা আবশ্যক।

‘মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন বিকেল ৪টার পর মনোনয়নপত্র দাখিলকারীদের নাম, পিতা/মাতা/ স্বামীর নাম ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক স্ব-উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে সংগ্রহ করার জন্য এবং সে আলোকে বিভিন্ন ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারকে ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন। ’

‘নির্বাচন উপলক্ষে ঋণ খেলাপি সংক্রান্ত তথ্য মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন কিংবা তার পূর্বে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারকে প্রদান এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাকে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং অফিসারের দপ্তরে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে। ’

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৭ মার্চ। মনোনয়নপত্র বাছাই ২৯ মার্চ। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার ৫ এপ্রিল। প্রতীক বরাদ্দ করা হবে ৬ এপ্রিল। এ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন চট্টগ্রাম অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর একটি হাসপাতালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ মৃত্যুবরণ করেন। এরপর আসনটি শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। পরবর্তীতে আসনশূন্য ঘোষণার গেজেট ইসিতে এলে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করে কমিশন।

এ আসনটি এর আগেও একবার শূন্য হয়েছে ২০১৯ সালে। মহাজোটের শরিক হিসেবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) নেতা মইন উদ্দিন খান বাদল ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচিত হন। কিন্তু তিনি ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারির উপ-নির্বাচনে জয়ী হয়ে সংসদে এসেছিলেন মোছলেম উদ্দিন আহমদ।  

বাংলাদেশ সময়: ০০৩৯ ঘণ্টা, মার্চ ০৮, ২০২৩
ইইউডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।