ঢাকা: গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণে কোথাও কোনো অনিয়ম হয়নি বলে দাবি করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, শুরু থেকেই অত্যন্ত সুন্দর পরিবেশে ভোটাররা ভোট দিচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) গাজীপুরের ধীরাশ্রম এলাকায় জিকে আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এই নির্বাচনে ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন ভোটার ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, ভোটাররা উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিচ্ছেন। কোথাও আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার ঘটনা পরিলক্ষিত হয়নি। কেউ অভিযোগ করেননি। ভোটাররা নির্বিঘ্নে এসে তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিয়ে যাচ্ছেন।
ইভিএমে ভোট দিলে প্রতীক ভেসে থাকছে আড়াই মিনিট- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, এই তথ্য আমার জানা নেই। যদি কোথাও কোনো কারিগরি ত্রুটি দেখা যায়, তবে আমাদের কারিগরি টিম আছে তারা দেখবে।
এ পর্যন্ত কোথাও কোনো অনিয়মের ঘটনা ঘটেনি বলে জানান এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমি মাঠে ঘুরছি। অফিসে গেলে আমি জানাতে পারব কত পার্সেন্ট ভোট পড়ছে। সকালের দিকে পার্সেন্টেজ কম ছিল। ধীরে ধীরে বাড়ছে।
গাজীপুরে ইভিএম নতুন- জানিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, প্রযুক্তির পরিচয় করাতে গেলে প্রথমে মানুষ দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভোগে। আমরা ভোটার এডুকেশন যথেষ্ট করেছি। বুথে বুথে দেখিয়ে দেওয়া হচ্ছে কীভাবে ভোট দিতে হয়।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত মো. আজমত উল্লা খান নৌকা, জাতীয় পার্টির এমএম নিয়াজ উদ্দিন লাঙ্গল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান হাতপাখা, গণফ্রন্টের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম মাছ, জাকের পার্টির মো. রাজু আহাম্মেদ গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর স্বতন্ত্র থেকে জায়েদা খাতুন (সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা) টেবিল ঘড়ি, মো. হারুন-অর-রশীদ ঘোড়া ও সরকার শাহনূর ইসলাম হাতি প্রতীক নিয়ে লড়ছেন।
৩২৯ দশমিক ৯০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের গাজীপুর সিটি করপোরেশনে প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৩ সালের ৬ জুলাই। দ্বিতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালের ২৬ জুন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৯ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২৩
এনবি/ইএসএস/এসজেএ/আরএইচ