ঢাকা: জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র স্থাপনের জন্য দায়িত্ব পাচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপার (এসপি)। এছাড়া ভোটকেন্দ্রের সংখ্যাও যাবে কমে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) এমন নীতিমালা চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
জানা গেছে, দু'টি কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হবে ভোটকেন্দ্রের তালিকা। উপজেলা কমিটিতে প্রধান থাকবেন ইউএনও, সদস্য সচিব থাকবেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। এ কমিটিতে অন্যান্য উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও থাকবেন। তাদের তৈরি করা তালিকা যাবে জেলা কমিটির কাছে।
জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গঠিত এ কমিটির সদস্য সচিব হবেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা। অন্যদের মধ্যে থাকবেন পুলিশ সুপার ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। এ কমিটি উপজেলা কমিটির তালিকা বাছাই করবেন। জেলা কমিটির তালিকা যাবে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে। তিনিই ভোটকেন্দ্র চূড়ান্ত করবেন।
এভাবে ৬৪ রিটার্নিং কর্মকর্তা ৬৪টি তালিকা চূড়ান্ত করে ইসিতে পাঠাবেন। নির্বাচন কমিশন সেটাতে অনুমোদন দেবে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, নীতিমালা চূড়ান্ত হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে দু'টো কমিটি কাজ করবে। তাদের প্রতিবেদন চূড়ান্ত করবেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। আর সেটাতে অনুমোদন দেবে নির্বাচন কমিশন।
তিনি বলেন, পুরনো ভবনে যেসব কেন্দ্র আগে ছিল, সেটা আর থাকবে না। এক্ষেত্রে নতুন করে কেন্দ্র বাছাই করতে হবে। কমিটিতে কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বও থাকবে না। এছাড়া প্রার্থীর প্রভাবাধীন কোনো প্রতিষ্ঠানেও ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হবে না।
মো. আলমগীর বলেন, মোট কেন্দ্রের সংখ্যা আগের চেয়ে আরও কমবে। বাড়বে না। কেননা, পুরনো ভবনে কোনো কেন্দ্র স্থাপন করা হবে না।
এ নীতিমালার ফলে আগের কেন্দ্র ঠিক রেখে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের বিষয়টি আর থাকছে না। প্রতিটি সংসদ নির্বাচনের আগেই নতুন করে কেন্দ্র স্থাপন ও বাছাই করা হবে। কেননা, অনেক স্কুল, কলেজ হয়ে গেলে নাম পরিবর্তন হয়ে যায়।
পুলিশকে কমিটিতে রাখার বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, কেন্দ্র পাহারায় পুলিশ নিয়োজিত থাকে। তাই কোথায় তারা সহজে যেতে পারবে সেটা বিবেচনায় নিতে হবে। অন্য দিকে শিক্ষা কর্মকর্তারা জানেন কোন প্রতিষ্ঠান কী অবস্থায় আছে, তাই তাদেরও রাখা হয়েছে।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ৪০ হাজার ১৮৩টি ভোটকেন্দ্রের ২ লাখ ৭ হাজার ৩১২টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ করেছিল ইসি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২৩
ইইউডি/আরআইএস