রাজশাহী: রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৫৬ দশমিক ২০ শতাংশ।  

বুধবার (২১ জুন) রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

ফলাফল ঘোষণা শেষে রিটার্নিং অফিসার দেলোয়ার হোসেন গণমাধ্যম কর্মীদের এ তথ্য জানান।

এর আগে বুধবার (২১ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ চলে। ভোট গণনা শেষে রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

এতে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ষষ্ঠ মেয়র নির্বাচিত হন- আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। মাঝখানে এক মেয়াদ বাদ দিয়ে তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হলেন তিনি। এর আগে দুই বার মেয়র ছিলেন তিনি। এবারের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১ লাখ ৬০ হাজার ২৯০ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হলেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকী পেয়েছেন ১৩ হাজার ৪৮৩ ভোট। যদিও দলটি নির্বাচনের আগেই বয়কট করেছে।

রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মো. দেলোয়ার হোসেন আরও বলেন, রাজশাহী সিটিতে এবার মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। মোট ভোটারের মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৭১ হাজার ১৬৭ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৮০ হাজার ৮০৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার সংখ্যা ৬ জন। ভোট কাস্টিং হয়েছে ৫৬ দশমিক ২০ শতাংশ।

এর আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন তালা প্রতীকে ৯৮ হাজার ৩৬০টি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিএনপি সমর্থিত মোসাদ্দেক হেসেন বুলবুল বাঘ প্রতীকে পেয়েছিলেন ৭৪ হাজার ৫৫০ ভোট। সেবার ভোট পড়ার হার ছিল ৮১ দশমিক ৬১ শতাংশ।

২০১৩ সালে ১৮ দলীয় জোটের সমর্থনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ৪৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনকে পরাজিত করেন। ওই বছর ভোট পড়েছিল ৭৬ দশমিক ০৯ শতাংশ।

এরপর সর্বশেষ ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের খায়রুজ্জামান লিটন নৌকা প্রতীকে পেয়েছিলেন ১ লাখ ৬৫ হাজার ৯৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছিলেন ৭৭ হাজার ৭০০ ভোট। ২০১৮ সালে ভোট পড়েছিল ৭৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

বাংলাদেশ সময়: ১১০৮ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০২৩
এসএস/এএটি