ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

এনআইডি সংশোধনে পুনর্বিবেচনার ক্ষমতা পাচ্ছেন ইসি সচিব

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৪ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২৩
এনআইডি সংশোধনে পুনর্বিবেচনার ক্ষমতা পাচ্ছেন ইসি সচিব ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: জাতীয় পরিচয়ত্র (এনআইডি) সংক্রান্ত কোনো আবেদন বাতিল হলে তা পুনর্বিবেচনার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবকে দেওয়া হচ্ছে। এজন্য স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্রসিডিউর (এসওপি) সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে এ সংক্রান্ত কমিটি।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় পরিচয়পত্র, ভোটার তালিকা এবং নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় তথ্য প্রযুক্তির প্রয়োগ কমিটির সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান ইতোমধ্যে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য এনআইডি মহাপরিচালককে নির্দেশনাও দিয়েছেন।

জানা গেছে, চারটি ধাপের এনআইডি সংক্রান্ত আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়। উপজেলা কর্মকর্তা, জেলা কর্মকর্তা, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও এনআইডি মহাপরিচালক এ ক্ষমতা ভোগ করেন। এক্ষেত্রে যা উপজেলা কর্মকর্তার এখতিয়ার বর্হির্ভূত তার আবেদন জেলা কর্মকর্তার কাছে যায়। তিনিও অপারগ হলে তা পাঠানো হয় আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা কাছে। তিনি নিষ্পত্তি করতে না পারলে সর্বশেষ মহাপরিচালক সেটি নিষ্পত্তি করেন। এখন এনআইডি মহাপরিচালক কোনো আবেদন নিষ্পত্তি না করতে পারলে বা নিষ্পত্তি করে দিলেও সেটি পুনর্বিবেচনার কর্তৃত্ব পাচ্ছেন ইসি সচিব। অর্থাৎ কারও আবেদন বাতিল হয়ে গেলে সেটি আবার পুনর্বিবেচনা করতে পারবেন সচিব।

এদিকে এনআইডির আবেদনগুলো গুরুত্ব বিবেচনায় ভাগ করার জন্য বা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে পাঠানোর কাজটি করে থাকেন নির্বাচন ভবনের নির্দিষ্ট কর্মকর্তা। এখন তাদের পাশাপাশি এ দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে ২০ জন অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকেও।

ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, আবেদনের ক্যাটাগরি যথাসময়ে না করার কারণে কোন কর্মকর্তা তা নিষ্পত্তি করবেন, তা নির্ধারিত হয় না। ফলে অনেকের আবেদন ঝুলে থাকে। ক্যাটাগরি করার ক্ষমতা মাঠ পর্যায়ে বিকেন্দ্রীকরণ করা হলে এ কাজে গতি আরও বাড়বে।

এ সংক্রান্ত সভার কার্যবিবরণী থেকে জানা গেছে, প্রস্তাবটি করেছেন এনআইডি মহাপরিচালক একেএম হুমায়ূন কবীর। তিনি বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন কার্যক্রমে এনআইডির মহাপরিচালক কর্তৃক বাতিল করা আবেদনসমূহ পুনর্বিবেচনাকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে সচিব মহোদয়কে সম্পৃক্ত করা উচিত।

এরপর প্রস্তাবটি গ্রহণ করে তা অনুমোদনের জন্য ‘কমিশন বৈঠকে’ উপস্থাপনের জন্য সিদ্ধান্ত দেন কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান।

ইসির এনআইডি সার্ভার বর্তমানে আবেদন দাঁড়াল ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০ জন। যার ভিত্তিতে সরবরাহ করা হচ্ছে এনআইডি। তবে এসব এনআইডির মধ্যে কোটি কোটি ভুল আছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। আর এসব ভুলের জন্য প্রায় প্রতিদিনই শতশত আবেদন জমা পড়ে ইসির সার্ভারে। এছাড়া বাতিল হয় অনেক আবেদন।

এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে সেবাগ্রহীতাদের জন্য সুযোগ যেমন বাড়বে, তেমনি সেবাও ত্বরান্বিত হবে বলে মনে করছেন ইসি কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ০০২৪ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২৩
ইইউডি/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।