ঢাকা, বুধবার, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

নৌকায় ভোট না দিলে ভাতা কার্ড  বাতিলের হুমকি সমাজসেবা কর্মীর!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৩
নৌকায় ভোট না দিলে ভাতা কার্ড 
বাতিলের হুমকি সমাজসেবা কর্মীর!

সিরাজগঞ্জ: নৌকায় ভোট না দিলে প্রতিবন্ধী, বিধবা ও বয়স্ক ভাতার কার্ড বাতিল করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের ইউনিয়ন সমাজকর্মী আব্দুল হাকিমের বিরুদ্ধে। তিনি ভাতাভোগীদের ফোন দিয়ে এমন হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

 

এছাড়া আব্দুল হাকিম সরকারি বিধিমালা উপেক্ষা করে নৌকার প্রচারে অংশ নিচ্ছেন। নৌকার বিভিন্ন উঠান বৈঠক ও পথসভায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আওয়ামী লীগ মনোনীত এমপি প্রার্থী ও বর্তমান এমপি আব্দুল মমিন মণ্ডলের পাশের চেয়ারেও তাকে বসতে দেখা গেছে।  

মাসুদ রানা নামে এক যুবকের ফেসবুকে আপলোড করা ভিডিওতে দেখা যায়, বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে নির্বাচনী আলোচনা সভায় নৌকার প্রার্থী আব্দুল মমিনের সঙ্গে একই সারির চেয়ারে বসে আছেন আব্দুল হাকিম। অপর এক ছবিতে দেখা যায়, রাজাপুর ইউনিয়নের মকিমপুর মাদরাসা মাঠে নৌকার একটি নির্বাচনী সেন্টার কমিটি গঠনের সভায় তিনি বক্তব্য দিচ্ছেন।  

এদিকে বেলকুচি উপজেলার কদমতলী গ্রামের প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী রহমত আলী জানান, আব্দুল হাকিম স্যার আমাকে ফোন দিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে বলেছেন। আমাকে আরও বলেছেন, তোমার সঙ্গে আরও যারা বয়স্ক ও বিধবা ভাতাভোগী, তাদেরকেও নৌকায় ভোট দিতে বলবে। আব্দুল মমিন মণ্ডলকে ভোট না দিলে কার্ড বাতিল করে দেওয়া হবে।  

রহমত বলেন, চার হাজার টাকা দিয়ে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করেছি। এখন দুশ্চিন্তায় আছি, কি করব।  

বেলকুচি উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোনিয়া সবুর আকন্দ জানান, আব্দুল হাকিম একজন সরকারি চাকরিজীবি হয়েও প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আব্দুল মমিনের পক্ষে প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। তিনি ২০ ডিসেম্বর রাজাপুর ইউনিয়নের মকিমপুর গ্রামে নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী সেন্টার কমিটি গঠনকালে বক্তব্যও দিয়েছেন।  

আব্দুল হাকিম অভিযোগ অস্বীকার বলেন, এসব অভিযোগ ভুয়া। সকালে ঘুম থেকে উঠে অফিসে যাই, বিকেল ৫টায় ফিরি। আমাদের ভোট চাওয়ার সুযোগ নাই। ছবিগুলো হয়তো এডিট করে দিয়েছে।  

সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও বেলকুচি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফিয়া সুলতানা কেয়া জানান, ডকুমেন্ট পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ডকুমেন্ট ছাড়া কোনো মন্তব্য করতে পারব না।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।