ঢাকা: জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) মহাপরিচালক এএসএম হুমায়ুন কবীর বলেছেন, ঝুলে থাকা পৌনে চার লাখ সংশোধন আবেদন তিন মাসে নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করব, যাতে দুর্নীতি করার সুযোগটাই কমে আসে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের অভিযান পরিচালনার প্রেক্ষিতে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
হুমায়ুন কবীর বলেন, আমি মাত্র এসেছি, দুই সপ্তাহ কাজ করেছি। যতটুকু জেনেছি, আমাদের একটা বড় সমস্যা হচ্ছে—আমরা আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করতে পারিনি। কমিশনের অনুমতি নিয়ে লোকবল কম নিয়ে হলেও ৫-১০ দিনে বা এক মাসে হাজার হাজারে আবেদন নিষ্পত্তি করতে পারব না। আমি আশা করছি, খুব শিগগিরই দেখতে পাবেন আমরা একটা ক্রাশ প্রোগ্রামের পরিকল্পনা করেছি। আগামী তিন মাসের মধ্যে এটা উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখতে পাবেন।
এনআইডি মহাপরিচালক বলেন, অতিরিক্ত লোকবল নেওয়ার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি, এ সময়ের মধ্যে তিন লাখ ৭৮ হাজার আবেদনই নিষ্পত্তির চেষ্টা করব। যাতে দুর্নীতি করার সুযোগটাই কমে আসে।
দুদকের অভিযানের বিষয়ে তিনি বলেন, দুদকের অভিযানের সময় দুজনকে আটক করা হয়েছে। এটা এখন তদন্ত করে দেখতে হবে কারা সম্পৃক্ত রয়েছে। গণমাধ্যমের খবরের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক কৌশলে একটি টিম পাঠিয়েছে। তারা ইসি সচিবালয়ের চারদিকে তদন্ত করে। এ সময় তারা দুজনকে ধরতে পারে, যারা ইসির অফিসের কেউ নয়, দালাল প্রকৃতির। দুদক টিমের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি, ওই দু’জন ছেলে তাদের মোবাইল থেকে আরও দুজনের সাথে যোগাযোগ করেছে। একজনের মোবাইল এখন বন্ধ, আরেকজন মোবাইল রেখেই পালিয়ে যায়। ওই মোবাইল থেকে আমরা চেষ্টা করছি আমাদের ভেতরের কারা জড়িত।
হুমায়ুন কবীর বলেন, সেবা নিতে আসা লোকজনের কাগজপত্র প্রিন্ট দেওয়ার বিষয় ঘটেছে। এসব কাজে কেউ কেউ সম্পৃক্ত। ইসির চিঠিপত্র আদান-প্রদান করেন, প্রকল্পের স্টাফ, এমন কয়েকজনের নাম বলেছেন। তাদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এনআইডি প্রকল্পের জনবল। এনআইডি সেবা নিয়ে ইসি সচিবালয়ের লোকবল ও উইংয়ের প্রকল্পের লোক সম্পৃক্ত থাকে। আমাদের প্রকল্পের কেউ বা আমাদের ভেতরের কেউ এটার সাথে জড়িত থাকার সুযোগ রয়েছে। ওইটাই এখন খুঁজে বের করছি।
সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী দেশে বর্তমানে ১২ কোটি ১৮ লাখের বেশি ভোটার রয়েছে। এদের মধ্যে অনেকেই এনআইডিতেই নানারকম ভুল-ত্রুটি আছে। যাদের অনেকেই হয়রানিতে পড়ে দালালের মাধ্যমে এনআইডি সংশোধনের চেষ্টা করেন। অনেকে আবার অসৎ উদ্দেশ্যেও সংশোধন করে নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৪
ইইউডি/এমজেএফ