ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

কেটলির এজেন্টকে মেরে ফেলার হুমকি, গাজীর নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্র

স্টাফ করেসপনডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২৪
কেটলির এজেন্টকে মেরে ফেলার হুমকি, গাজীর নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্র

* ঈগল ও আলমারির নামে নৌকার ১৬ এজেন্ট কাজ করছে, তারা প্রার্থীর নাম জানে না, কার্ডও নেই।

*মোড়ে মোড়ে গাজীর লোকজনের প্রভাব বিস্তার।

রূপগঞ্জ (নারায়নগঞ্জ) থেকে: নারায়ণগঞ্জ -১ আসনের রূপগঞ্জের তারাবো পাট গবেষণা উপকেন্দ্র ১৯ নম্বর ভোটকেন্দ্র নৌকার প্রার্থী গোলাম দস্তগীর গাজীর লোকজন প্রভাব বিস্তার করে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কেতলির এজেন্টদের কেন্দ্রে না আসার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছে সেখানে। সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৯টা পর্যন্ত ওই কেন্দ্রে সরেজমিনে গিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে।

এই কেন্দ্রের কেটলি প্রতীকের (আলহাজ্ব শাজাহান ভূইয়া) এজেন্ট ইলিয়াস মিয়া বলেন, গত রাত থেকে হুমকির ওপর রেখেছে গাজীর লোকজন। পারলে তারা আমাকে মেরে ফেলে। মোবাইলে কল করে হুমকি দিচ্ছে তারা। তাই মোবাইলফোন বন্ধ রেখেছি। এভাবে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে তারা।

কেটলির আরেক এজেন্ট এলাচি বেগম বলেন, ভয়ের মধ্যে আছি।  অনবরত হুমকি দিচ্ছে দস্তগীর গাজীর লোকজন।  

ওই কেন্দ্রের আটটি বুথে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেশিরভাগ বুথে নৌকা ও ঈগলের এজেন্ট রয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রের বাইরে সড়কজুড়ে গাজীর পোষ্য কিশোর-যুবকেরা ঘোরাফেরা করছে। তারা খোঁজ নিচ্ছে কেটলির লোকজন আসছে কিনা।

এদিকে ৪ নম্বর বুথে নৌকার এজেন্ট নূর আলম এবং বিউটি নামে দুজনকে দেখা যায়। এছাড়া ঈগল ও আলমারি প্রতীকের এজেন্ট পরিচয়ে নৌকার জন্য কাজ করছেন কয়েকজন। নূর আলম-বিউটি পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে বিভিন্ন কক্ষে আসা-যাওয়া করছেন।

এসব বিষয়ে বাধা দিলে কেন্দ্রের দায়িত্বরত এসআই হাবিবুর রহমানের সঙ্গে তর্কে জড়ান তারা। এর কিছুক্ষণ পরেই নূর আলমের প্রভাব বিস্তার জানতে দায়িত্বরত এক সাংবাদিক এগিয়ে গেলে তাকেও  হুঁশিয়ারি দেন তারা।  

এসব বিষয় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা প্রিসাইডিং অফিসারকে বিষয়টি জানালে নূর আলম তার কক্ষে যান।  

ওই কেন্দ্রের ৮ বুথের আলমারি ও ঈগল প্রতীকের নামে নৌকার লোকেরা (১৬) এজেন্ট সেজে বসে আসে। বেশিরভাগ এজেন্ট প্রার্থীর নাম জানেন না এবং তাদের অনেকেন কাছে কোনো কার্ড নেই।  

প্রিসাইডিং অফিসার মো. মিজানুর রহমান  বলেন, সকাল ৮ টা থেকে  ৯টা ১০ পর্যন্ত ২২০টি ভোট গ্রহণ হয়েছে। তবে ৪ নম্বর বুথে এ সময়ে মাত্র ১২টি ভোট গ্রহণ করা হয়েছে।

এর আগে সকাল থেকেই পিসাইডিং অফিসার, পুলিশ আনসার বাহিনীর সদস্যসহ সংশ্লিষ্টরা ভোটারদের অপেক্ষায় ছিলেন। ঘড়ির কাটা ৮টা বাজতেই ভোট গ্রহণ শুরু হয়।

বেলা সাড়ে ৯ টার দিকে এ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মিজানুর রহমান জানান, সকাল ৮টা থেকে এখন পর্যন্ত সষ্ঠু সুন্দরভাবে ভোট গ্রহণ চলছে। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩ হাজার ৬৮৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ হাজার ৮৪১ জন নারী ভোটার ১৮৪৮ জন। মোট আটটি বুথে ভোটর গ্রহণ চলছে।

দায়িত্বরত এআই মো. হাবিবুর রহমান বলেন,  আমরা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করছি। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২৪
এইচএমএস/ইএসএস/এনবি/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।